উত্তর : আল্লাহর প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস থাকলে সে তওবা করার সুযোগ না পেলেও মুশরিক হবে না। বরং সে ঈমানের অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করবে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১২/৩১২; ইবনু আব্দিল বার্র, আত-তামহীদ ১/১২০)। আল্লাহ বলেন, ‘যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি করা হয়, অথচ তার হৃদয় ঈমানের উপর অটল থাকে, সে ব্যতীত’... (নাহল ১৬/১০৬)।
আয়াতটি আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) সম্পর্কে নাযিল হয়। ইসলামের প্রথম মহিলা
শহীদ তার মা সুমাইয়া ও তার পিতা ইয়াসিরকে হত্যা করার পর পুত্র আম্মারকেও
তার ঈমানের জন্য চরমভাবে নির্যাতন করা হয়। অবশেষে তাকে তাদের
মূর্তি-প্রতিমাগুলির প্রশংসা এবং রাসূল (ছাঃ)-কে গালি দিতে বাধ্য করা হয়।
এরপর তিনি ছাড়া পেয়ে সোজা রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করেন। রাসূল
(ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেন ‘ঐ সময় তোমার অন্তর কিরূপ ছিল’? তিনি বললেন,
‘ঈমানের উপর অবিচল ছিল’। রাসূল (ছাঃ) বললেন ‘যদি ওরা আবার বলতে বলে, তাহ’লে
তুমি আবার বল’ (অর্থাৎ উক্ত অবস্থায় ঈমানের উপর অটল থাকলে শিরকী বাক্যের
কারণে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না)। তখন অত্র আয়াত নাযিল হয়’ (হাকেম হা/৩৩৬২, ২/৩৫৭ পৃ., সনদ ছহীহ; বায়হাক্বী ৮/২০৮-০৯; তাফসীর ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাছীর)।