
উত্তর : রামাযান মাসে অন্তত একবার কুরআন খতম করা মুস্তাহাব (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/৩৩১)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর জিব্রীল (আঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর সঙ্গে একবার কুরআন মাজীদ শোনাতেন ও শুনতেন। কিন্তু যে বছর তাঁর ওফাত হয় সে বছর তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে দু’বার শুনিয়েছেন (বুখারী হা/৪৯৯৮; মিশকাত হা/২০৯৯)। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি একদা নবী করীম (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! কয়দিনে কুরআন কয় দিনে খতম করব। তিনি বললেন, ৪০ দিনে। অতঃপর বলেন, এক মাসে। পরে বললেন, ২০ দিনে। পরে বললেন, ১৫ দিনে, ১০ দিনে ও ৭ দিনে। ৭ দিনের নিচে নামেননি (আবুদাউদ হা/১৩৯৫)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ৩দিন (আবুদাউদ হা/১৩৯৪)। তাবেঈ বিদ্বান ক্বাতাদা (রহঃ) প্রতি সাতদিনে একবার এবং রামাযানে প্রতি তিনদিনে একবার কুরআন খতম করতেন (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৫/২৭৬)। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, রামাযান আসলে সালাফদের কুরআন খতম করার গুরুত্ব বেড়ে যেত। অতএব রামাযানে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব। তবে কুরআন কেবল রামাযানের জন্য নাযিল হয়নি। সারা বছরই কুরআন তেলাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে বরং প্রতি চল্লিশ দিনে একবার খতম করা মুস্তাহাব এবং বছরে অন্তত একবার কুরআন খতম করা কর্তব্য (আবুদাউদ হা/১৩৯৫; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/১২৭)।
প্রশ্নকারী : রেযাউল করীম, মণীপুর, গাযীপুর।