উত্তর : সর্বাবস্থায় নেক আমল করতে হবে এবং তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করতে হবে। কারণ তাক্বদীরে বিশ্বাস না করলে মানুষ যেকোন ব্যর্থতায় অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। সে কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটাই বিস্ময়কর। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মুমিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য হয় না। আনন্দের মুহূর্ত এলে সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ-কষ্টে সে ধৈর্যধারণ করে। ফলে সেটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়’ (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বল, আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা ব্যতীত কিছুই আমাদের নিকট পৌঁছবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক। আর আল্লাহর উপরেই মুমিনদের ভরসা করা উচিত’ (তওবাহ ৯/৫১)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাক, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধনী হবে’ (তিরমিযী হা/২৩০৫; ছহীহাহ হা/৯৩০)। তিনি আরো বলেন, ‘যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাও। আর যখন তুমি সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি মানবজাতির সকলে মিলে তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (ভাগ্যলিপি) শুকিয়ে গেছে’ (তিরমিযী হা/২৫১৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৯৫৭)। অতএব নেক আমলের পাশপাশি তাক্বদীরের ভালো-মন্দের প্রতি বিশ্বাস করলে অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি বিগত গুনাহের জন্য অধিকহারে তওবা-ইসতিগফার করবে।
প্রশ্নকারী : নাজমুল ইসলাম, সোনামসজিদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।