উত্তরঃ বাহাইয়াহ্ নামে একটি ঈমান বিধ্বংসী ভ্রান্ত বাতেনী মতবাদ রয়েছে। এর প্রবর্তক হচ্ছে মিরযা হুসাইন আলী মাযেনদারানী (১২৩৩-১৩০৯ হিজরী)। সে ইরানে ‘‘নূর’’ নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। ৭৫ বছর বয়সে সে পাগল হয়ে মারা যায়। সে নিজেকে বাহাউল্লাহ্ হিসাবে দাবী করে। যার অর্থ আল্লাহর নূর (অর্থাৎ তার মধ্যে আল্লাহর নূরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে)। পূর্বে সে শী‘আ রাফেযী সম্প্রদায়ের অনুসারী ছিল।

এরা মুসলমান নয়। এটি একটি স্বতন্ত্র বানোয়াট ধর্ম। এদের অনুসারীদের আক্বীদা-বিশ্বাসই তার প্রমাণ বহন করে। যেমন- (১) তারা মন মত কুরআনের ব্যাখ্যা করে থাকে (২) মাযেন্দারানীকে প্রভু, মা‘বূদ ও ওকা শহরের বাহযার বাড়ীকে কিবলা মনে করে (৩) আল্লাহর সব নাম ও গুণাবলীকে অস্বীকার করে। (৪) মাহরামদের সাথে বিয়ে করাকে বৈধ মনে করে। (৫) তারা বলে সব ধর্মই সঠিক এবং তাওরাত ও ইঞ্জীলের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। (৬) তারা এক কালের চীন, ইন্ডিয়া ও পারসীয় শাসক বূযা, কুনফুসিয়াস ও যারাদাশ্তকে নবী বলে বিশ্বাস করে। (৭) তারা নবীগণের মু’জিযা, ফেরেশতা ও জ্বিনদের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে। (৮) জান্নাত ও জাহান্নামকে অস্বীকার করে। (৯) তারা মনে করে বাহাউল্লাহর দ্বীন মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর শরী‘আতকে রহিত করে দিয়েছে। (১০) মুহাম্মাদ-এর শেষনবী হওয়াকে তারা অস্বীকার করে এবং দাবী করে যে, অহী অব্যাহত থাকবে। (১১) তারা কা‘বা গৃহের উদ্দেশ্যে হজ্জকে বাতিল করে বাহাউল্লাহকে যেখানে দাফন করা হয়েছে অর্থাৎ ‘‘আল-বাহজাহ’’-তে হজ্জ করাকে তাদের শরী‘আত মনে করে। (১২) একমাত্র মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় করা ছাড়া তারা জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করাকে জায়েয মনে করে না। (১৩) তাদের নিকট ছালাত তিন ওয়াক্ত; সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যার ছালাত। প্রত্যেকবারে তিন রাক‘আত ছালাত আদায় করে থাকে। মুখ ও দু’হাত ধৌত করাই হচ্ছে তাদের ওযূ (১৪) তারা এ বিশ্বাস করে যে, জান্নাত হচ্ছে বাহাউল্লাহর প্রতি ঈমান আনা। আর জাহান্নাম হচ্ছে তার অনুসরণ না করা। (১৫) পুনরুত্থান ও হিসাব দিবসকে তারা অস্বীকার করে।

অতএব এরা ইসলামের নামে একটি অমুসলিম, কাফের সম্প্রদায়, যারা অন্যান্য অনৈসলামী ধর্মের চেয়েও নিকৃষ্ট। ইহুদীদের সাথে এদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এদের ভ্রষ্টতা সম্পর্কে বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে’ (বিস্তারিত দ্রঃ শায়খ রাশেদ ইবনু আব্দিল মু‘তী, আল-বাহাইয়্যাহ্ আযযলালা : নাশআতুহা ও ইনহিরাফাতুহা; ডঃ ত্বল‘আত যাহরান ইস্কান্দারী, ‘আল-বাহাইয়্যাহ্’)






বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (৭/৪৭) : শক্তিশালী কোন কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ কয়েক ফোঁটা পেশাব বের হয়ে গেলে করণীয় কি? দুই পা সহ পোশাক ও লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে কি?
প্রশ্ন (১০/১০) : নতুন বাড়ী উদ্বোধনকালে বিশেষ কোন দো‘আ আছে কি? এসময় আলেম-ওলামা বা আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দো‘আর অনুষ্ঠান বা ভোজসভা করা যাবে কি? - -মুখলেছুর রহমান, সাপাহার, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : আমার কাছে ৩ লক্ষ ৫০ হাযার টাকা আছে। আমি এই টাকা ব্যাংকে রেখে সূদ নিয়ে তা গরীব মাদ্রাসা ছাত্রীকে দিতে পারবো কি?
প্রশ্ন (১৮/২১৮) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ‘মহিলাদের পবিত্রতা অর্জনের জন্য প্রথমে ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করতে হবে। এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/৪১৮) : জীবিত বা মৃত পিতা-মাতার নামে উন্মুক্ত পাঠাগার করা যাবে কি? যাতে মানুষ সেখান থেকে সঠিক জ্ঞানার্জন করতে পারে? - -তাহের আলীউত্তর দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (১৭/১৭) : অনেক বই-পত্রে দেখা যায় আরবী লেখা আছে। তাতে আল্লাহর নাম বা কুরআনের আয়াতও থাকে। সেগুলোর প্রয়োজন না থাকলে পুড়িয়ে ফেলা যাবে কী?
প্রশ্নঃ (১৫/৪৫৫) : ব্যাঙ, কুঁচে, চিংড়ি এবং কচ্ছপ ও তার ডিম খাওয়া কি জায়েয?
প্রশ্ন (৯/৯) : সহো সিজদা দেওয়ার নিয়ম কি? সহো সিজদার পর একদিকে সালাম ফিরাতে হবে না দু’দিকে? - -মীযান, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : জনৈক ব্যক্তি পবিত্র কুরআন নিয়ে দৃঢ়ভাবে শপথ করে যে, আল্লাহর কসম! আমি বাকী জীবনে এই পাপ আর করব না। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পুনরায় ঐ পাপে লিপ্ত হ’লে তার হুকুম কী?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোন একজন ছালাত আদায় না করলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের একজন কিছুদিন ছালাত আদায় করেনি। কিন্তু বর্তমানে আমরা উভয়েই ছালাত আদায় করি। এক্ষণে আমাদের নতুনভাবে বিবাহ করতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৩/৯৩) : আমার তিন সন্তান ছোট থেকে বাড়ির বাইরে থেকে পড়াশুনা করেছে এবং বর্তমানেও বাইরে চাকুরীরত। ছোট সন্তান বাড়িতে থেকে আমার জমি-জমা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু দেখাশুনা ও পরিচালনা করে। আমার বিবেচনায় অন্য সন্তানদের চেয়ে সে আমার সম্পদের বেশী হকদার। এক্ষণে আমি অন্য সন্তানদের সাথে পরামর্শ না করে ছোট সন্তানকে যদি অতিরিক্ত কোন সম্পদ দিতে চাই, সেটা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (১/১২১) : কাউকে রক্তদান করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.