উত্তর : মুছল্লীদের তা‘লীমের উদ্দেশ্যে ছালাতের পর আলোচনা করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও, একটি আয়াত হ’লেও (বুখারী হা/৩৪৬১; মিশকাত হা/১৯৮)। রাসূল (ছাঃ) বিশেষ করে ফজর ছালাত শেষে আলোচনা করতেন (আবুদাঊদ হা/৪৬০৭ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৬৫)। তিনি ফরয ছালাতের পর ইলমের মজলিসের ফযীলত সম্পর্কে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফরয ছালাতের পর বসে যায় এবং লোকদের দ্বীনের তা‘লীম দেয়, সে ব্যক্তি ঐ আবেদের চাইতে উত্তম যে দিনে ছিয়াম পালন করে ও রাতে ইবাদত করে। যেমন তোমাদের একজন সাধারণ মানুষের উপর আমার মর্যাদা’ (দারেমী হা/৩৪০; মিশকাত হা/২৫০)।
তবে ওয়ায-নছীহত মুছল্লীদের ধৈর্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তুমি (সপ্তাহে) প্রতি শুক্রবার মানুষকে ওয়ায কর। নইলে দু’বার। আর যদি এর চাইতে অধিক করতে চাও তবে তিনবার। তুমি কুরআনকে মানুষের নিকট বিরক্তিকর করে তুলো না। এতদ্ব্যতীত আমি যেন কখনও তোমাকে না দেখি যে, তুমি লোকদের নিকট পৌঁছবে যখন তারা নিজেদের আলোচনায় মশগুল থাকবে। আর তুমি তাদের কাছে গিয়ে ওয়ায শুরু করে দিবে। তুমি তাদের আলোচনা নষ্ট করে দিবে এবং তা তাদের মধ্যে বিরক্তি উৎপাদন করবে। বরং এ সময় তুমি চুপ থাকবে। অতঃপর যখন তারা তোমাকে চাইবে তখনই কথা বলবে, যতক্ষণ তারা তোমার কথার আকাঙ্ক্ষা করবে’ (বুখারী হা/৬৩৩৭; মিশকাত হা/২৫২)। ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) প্রতি বৃহস্পতিবার তা‘লীমী বৈঠক করতেন (বুখারী হা/৭০; মুসলিম হা/২৫৪৮; মিশকাত হা/২০৭)।
প্রশ্নকারী : আলমগীর ফকীর, গোড়ান, ঢাকা।