উত্তর : (১)মুসনাদে বায্যার’ ১৮ খন্ডে সমাপ্ত একটি হাদীছ গ্রন্থ। গ্রন্থটির প্রকৃত নাম البحر الزخَّار বা ‘কানায় কানায় পূর্ণ সাগর’। পরবর্তীতে মুসনাদ বায্যার নামে খ্যাতি লাভ করে। গ্রন্থটির সংকলক হ’লেন ইরাকের বছরায় জন্মগ্রহণকারী খ্যাতনামা মুহাদ্দিছ আবুবকর আহমাদ ইবনু আমর বিন আব্দুল খালেক আল-বায্যার (মৃ. ২৯২ হিঃ) (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১০/৫৩২)। এটি মুসনাদ গ্রন্থ হওয়ায় ছাহাবীগণের ধারাক্রম অনুযায়ী গ্রন্থটিকে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার হাদীছ রয়েছে। (২) ‘মাজমাঊয যাওয়ায়েদ ওয়া মামবাউ‘ল ফাওয়ায়েদ’     (مجمع الزوائد ومنبع الفوائد) গ্রন্থটিও একটি হাদীছ সংকলন গ্রন্থ। এর সংকলক হ’লেন আবুল হাসান নূরুদ্দীন আলী ইবনু আবি বকর আল-হায়ছামী (মৃ.৭৩৫-৮০৭হিঃ)। তিনি একজন প্রখ্যাত মিসরীয় মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক ছিলেন। এই গ্রন্থে তিনি কুতুবে সিত্তাহ বহির্ভুত যে সকল হাদীছ মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে বায্যার, মুসনাদে আবু ইয়া‘লা মুছেলী এবং ইমাম ত্বাবারাণী-এর মু‘জাম গ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে তা একত্রিত করেছেন। ১২ খন্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে প্রায় ১৯ হাযার হাদীছ রয়েছে (ইবনুল ইমাদ, শাযারাতুয যাহাব ৯/১০৫)। (৩) ‘কানযুল উম্মাল’ একটি সুবিস্তৃত হাদীছ সংকলন গ্রন্থ। এর পুরো নাম كنز العمال في سنن الأقوال والأفعال। এর সংকলক হ’লেন হিন্দুস্তানী মুহাদ্দিছ আলাউদ্দীন আলী ইবনু হিশামুদ্দীন (মৃ. ৯৭৫হিঃ)। তিনি ‘আলী মুত্তাকী হিন্দী’ নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি ভারতের বুরহানপুরে (জৈনপুর) জন্মগ্রহণ করেন এবং হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফক্বীহ ও মুহাদ্দিছ ছিলেন। তিনি মূলতঃ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (মৃ. ৯১১হিঃ) রচিত الجامع الصغير ও الجامع الكبير হাদীছ গ্রন্থ দু’টি সংক্ষেপ ও পুনর্বিন্যাস করে এই গ্রন্থটি রচনা করেন। তিনি হাদীছের সনদ এমনকি বর্ণনাকারী ছাহাবীর নাম বাদ দিয়ে কেবল বিষয় ভিত্তিক হাদীছগুলিকে একত্রিত করেন। ১৮ খন্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৪৬,৬২৪টি হাদীছ রয়েছে। যার মধ্যে ছহীহ হাদীছের সাথে অসংখ্য যঈফ ও জাল হাদীছও রয়েছে।






প্রশ্ন (৯/৮৯) : ফজরের ছালাতের সময় গোসল ফরয হয়েছে; কিন্তু বিদ্যুৎ নেই ও পানিও নেই। প্রতিবেশী থেকে পানি আনাও বেশ কঠিন। এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : প্রথম কাতারে ডান পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : কারণবশতঃ এলাকার মসজিদে ছালাত আদায় না করে দূরের কোন মসজিদে আদায় করলে শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? - -এস.কে. আযহার, কলিকাতা, ভারত।
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : অর্থ বা মর্ম না বুঝে কেবল কুরআন হেফয করলে নেকী পাওয়া যাবে কি? আর কুরআনের সর্বনিম্ন কতটুকু অংশ হেফয করলে হাফেযের মর্যাদা পাওয়া যাবে?
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : কুরআনের আয়াতকে আমরা বাক্য না বলে আয়াত বলি কেন? কুরআনের আয়াত বাংলায় উচ্চারণ করে পড়লে কি প্রতি অক্ষরে ১০টি ছওয়াব পাওয়া যাবে? আত-তাহরীক ও অন্য কোন হাদীছগ্রন্থ পাঠ করলে কেমন ছওয়াব পাওয়া যাবে? কোন অমুসলিম আরবী শিখে কুরআন তেলাওয়াত করলে সে কি প্রতি অক্ষরে ১০টি করে নেকী পাবে?
প্রশ্ন (৩৯/৩১৯) : মাদরাসা বোর্ডের বইয়ে লেখা হয়েছে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ইমাম আওযাঈর কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতে রাফউল ইয়াদায়েন করেননি। উক্ত হাদীছকে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ছহীহ মনে করতেন। এর সত্যতা সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১১/২৯১) : ইসমে আযম কোনটি সে ব্যাপারে কি ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে? ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত ইসমে আযম কোনটি? - -হাবীবুর রহমান, মহিষখোচা, লালমনিরহাট।
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : যাকাতের টাকা ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যয় করা যাবে কি? যেমন ইসলামিক সিডি, বই, ক্যাসেট ইত্যাদি কিনে বিতরণ করা হয়।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : জনৈক ব্যক্তি জুয়া খেলা থেকে প্রাপ্ত পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করে। এখন সে জুয়ার সাথে জড়িত নয়। প্রশ্ন হ’ল এই ব্যবসা হালাল হবে কী?
প্রশ্ন (১২/১৭২) : ‘আহলেহাদীছদের স্বভাব হবে এই যে, তারা কোন কাজের ক্ষেত্রে বলবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন তাই এই কাজটি করো, রাসূল (ছাঃ) এভাবে করতেন তাই এভাবে করো’। উপরোক্ত কথাটি কি হাদীছ না কোন মনীষীর উক্তি? - -তাহসীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
প্রশ্ন (৬/১৬৬) : আমানতের খেয়ানতকারীর পরিণাম কি? কারু বলা গোপন কথা প্রকাশ করে দিলে তা কি খেয়ানতের অন্তুর্ভুক্ত হবে?
প্রশ্ন (১/১) : হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। - -হাফীযুর রহমান, মাদারটেক, ঢাকা।
আরও
আরও
.