উত্তর : এভাবে পর্দার বিধান লংঘন করে ক্লাবের কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। কেননা এতে শয়তান পরস্পরকে পাপ কাজে প্ররোচিত করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কেবল যেটুকু প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত। আর তারা যেন তাদের মাথার কাপড় বক্ষদেশের উপর রাখে (অর্থাৎ মাথা ও বুক দু’টিই ঢেকে রাখে)। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে (নূর ২৪/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কোন বেগানা পুরুষ কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান করলে তাদের তৃতীয় জন হয় শয়তান (তিরমিযী হা/১১৭১, মিশকাত হা/৩১১৮)। এক্ষণে যে সকল প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য আলাদা ল্যাব বা আলাদা সময়ে বা অন্য স্থানে ক্লাবের ব্যবস্থা আছে সেখানে পড়াশুনা করবে। কেননা সহশিক্ষা ও সহকর্মস্থল ইসলামে নিষিদ্ধ। আর বাধ্যগত বিষয়ের হুকুম আলাদা। এটি বাধ্য হয়ে মৃত ভক্ষণের মত নয়’ (বাক্বারাহ ২/১৭৩)।
প্রশ্নকারী : ফারহানা যামান, দিনাজপুর।