উত্তর :
মাইয়েতকে গোসল দেয়ার সময় পর্দার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পূর্ণ শালীনতা ও
পরহেযগারীর সাথে কুলপাতা দেওয়া পানি অথবা সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করাবে।
সুন্নাতী তরীকা মোতাবেক গোসল করাতে সক্ষম এমন নিকটাত্মীয় বা অন্য কেউ
মাইয়েতকে গোসল করাবে। পুরুষ পুরুষকে এবং মহিলা মহিলাকে গোসল করাবে। তবে
মহিলাগণ শিশুদেরকে গোসল করাতে পারবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৬৮)। স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে বিনা দ্বিধায় গোসল করাবে (ইবনু মাজাহ হা/১৪৬৫; বায়হাক্বী ৩/৩৯৭; দারাকুৎনী হা/১৮৩৩, সনদ হাসান)।
গোসলের সময় গোসলদানকারী প্রথমে একটি কাপড় দিয়ে মাইয়েতের সতর ঢেকে দিবে এবং তার শরীরের পরিধেয় কাপড়গুলো খুলে ফেলবে। এরপর পেটে হালকাভাবে চাপ দিবে, যাতে কিছু থেকে থাকলে বেরিয়ে যায় এবং হাতে একটি ভিজা ন্যাকড়া পেঁচিয়ে নিয়ে লজ্জাস্থানের দিকে না তাকিয়ে তা পরিষ্কার করে দিবে। এরপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ডান দিক থেকে ছালাতের ওযূর ন্যায় ওযূর অঙ্গ সমূহ ধৌত করাবে। তারপর তিনবার বা তার বেশী বেজোড় সংখ্যায় সমস্ত শরীরে পানি ঢালবে। গোসল শেষে সুগন্ধি বা কর্পূর লাগাবে। মাইয়েত মহিলা হ’লে চুল খুলে দিবে। অতঃপর তিনটি ভাগে বেনীবদ্ধ করে পিছনে ছড়িয়ে দিবে (বুখারী হা/১২৬৩; মুসলিম হা/৯৩৯; আবুদাঊদ হা/৩১৪২, ৩১৪৫; মিশকাত হা/১৬৩৪; দ্রঃ ছালাতুর রাসূল পৃঃ ২২৭)।
মৃতব্যক্তিকে পৃথকভাবে কুলুখ করানোর কোন বিধান নেই। বরং পানি দ্বারাই সবকিছু করতে হবে। পানির অবর্তমানে কুলুখ ব্যবহার করা যাবে। ইমাম তিরিমিযী বলেন, বিদ্বানগণ (পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে) পানিকেই যথেষ্ট মনে করেন। পানি না পেলে কুলুখ নিবে (তিরমিযী হা/১৯ আলোচনা দ্রঃ)।