উত্তরঃ শুধু পাপের কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখ হয় না, বরং পরীক্ষা স্বরূপও হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)।
শিশুদের অসুখের বিষয়টি পিতা-মাতার পাপ মোচনের জন্যও হ’তে পারে কিংবা
তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যও হ’তে পারে। আর এই পরীক্ষা ও উপদেশ পিতা-মাতা,
সমাজনেতা, রাষ্ট্রনেতা, বিশ্বনেতৃবৃন্দ সকলের জন্য হ’তে পারে। সমাজের
একজনের পাপে অন্যজনের ভোগান্তি হয়ে থাকে। যেমন জাপানে ও ইরাকে আমেরিকার
বোমা বর্ষণের ফলে অগণিত বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে। চীন ও উন্নত দেশগুলির
অধিক হারে শিল্প ধোঁয়া উদ্গীরণের ফলে জলবায়ু দুষিত হয়ে সাগরতীরের দেশ
মালদ্বীপ, বাংলাদেশ আজ সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
বলেন, মানুষ কোন অন্যায় হ’তে দেখলে যদি তার প্রতিরোধ না করে, তাহ’লে আল্লাহ
তার শাস্তি সকলের উপর চাপিয়ে দেন’ (ইবনু মাজাহ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৪২)।
তাছাড়া মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও বালা-মুছীবতে ঘেরা থাকে। কাজেই শিশু অবস্থাতেও রোগ হ’তে পারে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ) একটি চতুষ্কোণ রেখা অঙ্কন করলেন এবং তার মধ্যে একটি রেখা টানলেন, যা চতুষ্কোণ অতিক্রম করে বের হয়ে গেছে। অতঃপর মধ্য রেখাটির উভয় পাশে অনেকগুলো ছোট ছোট রেখা অাঁকলেন এবং বললেন, মনে কর মধ্য রেখাটি মানুষ। চতুষ্কোণ তার বয়সের সীমা; যা তাকে ঘিরে রয়েছে। আর রেখার বাহিরের অংশটি তার আকাঙ্ক্ষা। আর এ সমস্ত ছোট ছোট রেখাগুলো তার বিপদ-মুছীবত, যাতে সে পতিত হ’তে পারে। যদি সে একটি বিপদ হ’তে রক্ষা পায় তবে পরবর্তী বিপদে আক্রান্ত হয়। যদি সেটা থেকেও রক্ষা পায়, তবে এর পরেরটিও আক্রান্ত হয় (বুখারী, মিশকাত হা/৫২৬৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫০৩৮ ‘আকাংখা ও লোভ’ অনুচ্ছেদ)।