উত্তর : যাবে না। মীকাত থেকেই ইহরাম বাঁধতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) সারা বিশ্ব থেকে হজ্জব্রত পালনকারীদের জন্য পৃথক পৃথক মীকাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২৫১৬)। ইবনে ওমর (রাঃ)-কে (যুল হুলায়ফার নিকটবর্তী একটি স্থান) বায়দা থেকে ইহরাম বাঁধার কথা বলা হ’লে তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কেবলমাত্র যুল হুলায়ফার মসজিদের নিকট থেকেই ইহরাম বাঁধতেন (মুসলিম হা/১১৮৬, বুখারী হা/১৫৪১)। ছাহাবী ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) বছরা থেকে ইহরাম বাঁধলে ওমর (রাঃ) তা অপসন্দ করেন এবং খোরাসান বিজয়ের পর আব্দুল্লাহ বিন আমের (রাঃ) নিশাপুর থেকে ইহরাম বাঁধলে ওছমান (রাঃ) তাঁকে তিরষ্কার করেন (বায়হাক্বী কুবরা হা/৯১৯৯; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/১২৮৪২; সনদ মওকুফ ছহীহ, বুছীরী, ইতহাফুল খায়রাহ হা/২৪৩৬; বিস্তারিত দ্রঃ ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৫/৬০-৬৩)।
অতএব হজ্জ পালনকারীগণ ইহরামের কাপড় সাথে নিয়ে বিমানে আরোহন করবেন এবং বিমান কর্তৃক মীকাতের ঘোষণা আসার পর বিমানের মধ্যে ইহরামের কাপড় পরিধান করবেন। মনে রাখতে হবে ইহরাম পরিধান ও তালবিয়া পাঠ একত্রে হ’তে হবে। ৫ ঘণ্টা আগে ইহরামের কাপড় পরে বিমানের ঘোষণার পর তালবিয়া পাঠ সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী রীতি। যা পরিত্যাজ্য।