উত্তর : উটের গোশত খেয়ে ওযূ করা আবশ্যক (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৫)। শরী‘আতের প্রতিটি বিধানের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য করা মুমিনের দায়িত্ব। হিকমত বা কারণ যাই হৌক তা শরী‘আতের বিধান। তবে বিদ্বানগণ কিছু হাদীছের আলোকে এর কারণ বর্ণনা করে বলেন, (১) উটের স্বভাব-চরিত্র জিনদের মত। আর ওযূর মাধ্যমে সে স্বভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় (বায়হাকী, সুনানুল কুবরা হা/৪৫৩১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১২/১০-১২)। (২) উট কখনও হিংস্র প্রাণীর মত কঠোর, হিংস্র ও উদ্ধত হয়ে যায়। আর তার গোশত খাওয়ার কারণে ব্যক্তির মধ্যে উক্ত স্বভাব ছড়াতে পারে। এই প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ওযূর মাধ্যমে। এজন্য শরী‘আতে উটের গোশত খেয়ে ওযূ করতে বলা হয়েছে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১২/১০-১২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২৩৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, উদ্ধত ও দাম্ভিক ভাব রয়েছে উট মালিকদের মধ্যে, আর নম্রতা ও গাম্ভীর্য রয়েছে বকরী মালিকদের মধ্যে (বুখারী হা/৪৩৮৮; মুসলিম হা/৫২; মিশকাত হা/৬২৫৮)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘দেখ কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য ঐ সব বেদুঈনদের মধ্যে, যারা তাদের উট নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যেখান থেকে শয়তানের শিং দু’টি উদয় হয় (বুখারী হা/৩৩০২; মুসলিম হা/৫৩০৩)। রাসূল (ছাঃ) উটের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, তোমরা উটের আস্তাবলে ছালাত পড় না, কারণ উট শয়তানী উপাদান থেকে সৃষ্ট (আবূদাউদ হা/১৮৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৩৫১)। তাছাড়াও উটের চর্বি অনেক গাঢ় হয়, যার প্রভাব ওযূর মাধ্যমে দূর হয়ে যায়। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।
প্রশ্নকারী : আশীক আহমাদ, কুষ্টিয়া।