উত্তর : মূসা (আঃ)-এর তোতলামী তাঁর জন্য নবুঅত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধক ছিল না। তাছাড়া তাঁর দো‘আর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সেই ত্রুটিও দূর করে দেন। মূসা (আঃ) দো‘আয় বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রসারিত করে দাও! আমার কর্ম সহজ করে দাও! আর আমার জিহবার আড়ষ্টতা দূর করে দাও! যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’ (তোয়াহা ২০/২৫-২৮)। আল্লাহ তা‘আলা জওয়াবে বলেন, ‘হে মূসা! তুমি যা চেয়েছ, সবই তোমাকে দেওয়া হ’ল’ (তোয়াহা ২০/৩৬)। সুতরাং এটা তার নবুঅতের শানের খেলাফ নয়। আর মুসলমানদের দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, নবী-রাসূলগণ মা‘ছুম বা সর্বপ্রকার মানবীয় দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত ছিলেন। আর এটাই তাদের শান ও মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ (ইবনু হাজার আসকালানী, ফাৎহুল বারী ৬/৪৩৮)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-বাস্সাম, নওদাপাড়া, রাজশাহী।