উত্তর :
উক্ত হাদীছ দ্বারা রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যের কবরে উপস্থিত হওয়া প্রমাণিত হয়
না। বরং সেখানে ফেরেশতাগণ রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কবরবাসীকে জিজ্ঞেস করবেন
সেটা বুঝানো হয়েছে। এছাড়া এর ভিত্তিতে রাসূল (ছাঃ)-এর মীলাদের মজলিসে আগমন
করার দলীল গ্রহণ করা হাস্যকর বৈ কিছুই নয়। কেননা মৃত্যুর পরে অন্য মানুষের
মত রাসূল (ছাঃ)-ও বারযাখী জগতে আছেন (মুমিনূন ১০০)। সেখান থেকে
বেরিয়ে অন্যের কবরে বা মীলাদ অনুষ্ঠানে হাযির হওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য যে, যারা রাসূল (ছাঃ)-কে ‘মানুষ’ মনে করেন না বরং ‘নূর’ বলে থাকেন
এবং যারা আহমাদ ও আহাদ একই সত্তা বলে দাবী করেন, এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদার
লোকেরাই কেবল রাসূল (ছাঃ)-কে কবরে ও মীলাদ অনুষ্ঠানে সর্বত্র একই সাথে
হাযির হওয়ার উদ্ভট কল্পনা করে থাকেন। এইসব অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী
আক্বীদা স্রেফ কুফরী আক্বীদা মাত্র। এসব থেকে তওবা করা আবশ্যক।