উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে উক্ত দো‘আটি পাঠের কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (ছাঃ) জিনদের সামনে সূরা রহমান পাঠ করলে উক্ত আয়াতের জওয়াবে জিনেরা প্রতিবার উত্তরটি দিয়েছিল বলে রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে সংবাদ দিয়েছিলেন (তিরমিযী হা/৩২৯১; ছহীহাহ হা/২১৫০)। যা তাঁর অনুমোদনের ইঙ্গিতবাহী হিসাবে কোন কোন বিদ্বান দো‘আটি পাঠ করা মুস্তাহাব বলেছেন। যেহেতু উক্ত হাদীছে রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদের চুপ থাকা দেখে বলেছিলেন, ‘জিনেরা তোমাদের চাইতে উত্তম জবাবদাতা ছিল’ সেহেতু ক্বিরাআত শেষে অন্ততঃ একবার উক্ত দো‘আ পাঠের মাধ্যমে জওয়াব দেওয়া ‘মুস্তাহাব’ বলে অনুমিত হয়।

মিশকাত-এর ভাষ্যকার ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ছালাতের মধ্যে হৌক বা বাইরে হৌক, পাঠকারীর জন্য উপরোক্ত আয়াত সমূহের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব। যা বর্ণিত হাদীছ সমূহে উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু শ্রোতা বা মুক্তাদীর জন্য উপরোক্ত আয়াত সমূহের জওয়াব দেওয়ার প্রমাণে স্পষ্ট কোন মরফূ হাদীছ আমি অবগত নই। তবে আয়াতগুলিতে প্রশ্ন রয়েছে। সেকারণ জওয়াবের মুখাপেক্ষী। কাজেই পাঠকারী ও শ্রোতা উভয়ের জন্য উত্তর দেওয়া বাঞ্ছনীয় (মির‘আত (বেনারস, ভারত ১৪১৫/১৯৯৫) ৩/১৭৫ পৃ.)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, বক্তব্যটি মুৎলাক্ব অর্থাৎ সাধারণভাবে এসেছে। অতএব তা ছালাত ও ছালাতের বাইরে এবং ফরয ও নফল সব ছালাতকে শামিল করে। তিনি ‘মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা’র বরাতে একটি ‘আছার’ উদ্ধৃত করেন এই মর্মে যে, ছাহাবী আবু মূসা আশ‘আরী ও মুগীরা বিন শো‘বা (রাঃ) ফরয ছালাতে উক্ত জওয়াব দিতেন। ওমর ও আলী (রাঃ) সাধারণভাবে সকল অবস্থায় জওয়াব দিতেন (আলবানী, ছিফাতু ছালা-তিন্নবী, পৃ. ৮৬ হাশিয়া; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৫১-৫২ পৃ.)

তবে শায়খ বিন বায এবং উছায়মীন (রহঃ) প্রমুখ বিদ্বান প্রথমোক্ত হাদীছটির দুর্বলতার প্রতি ইঙ্গিত করে দো‘আটি পাঠের ব্যাপারে আপত্তি করেছেন (দ্র. ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট : শায়খ বিন বায)






প্রশ্ন (৪০/১২০) : হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে সেখানে দায়িত্ব পালন করা যাবে কি? এটা শিরকী কার্যক্রমে সহযোগিতার নামান্তর হবে কি?
প্রশ্ন (২১/১০১) : রাসূল (ছাঃ) কি নূরের না মাটির তৈরী? তিনি যে নূরের তৈরী সূরা মায়েদার ১৫নং আয়াত কি তার প্রমাণ নয়? বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২০/১৮০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ছাহাবীগণ দাওয়াতী কাজের জন্য দীর্ঘ সফরে বের হতেন। আর এখান থেকেই ইলিয়াসী তাবলীগের নিয়ম-পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : একটি জাতীয় দৈনিকে লেখা হয়েছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) শতাধিক কিতাব লিখে ইসলামের মৌলিক সমস্যা সমাধানে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন বলেই ইসলাম মাযহাবী খুঁটির উপর দন্ডায়মান। বক্তব্যটির সত্যতা জানতে চাই। - -সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/২৮০) : ছিয়াম অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন গ্রহণের বিধান কি? বিশেষতঃ যাদের দিনে একাধিকবার গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন (১/২৮১) : মুসলিম সরকারের শরী‘আত বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সেদেশের মুসলিম নাগরিকদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৩/১৯৩) : তাহাজ্জুদ ছালাত ৮ রাক‘আতের কম আদায় করা হলে সেটা তাহাজ্জুদ হিসাবে গণ্য হবে কি?
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : সন্ধ্যার পর শিশুদের ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে শারঈ নির্দেশনা কি? যরূরী প্রয়োজনে নেওয়া যাবে কি? কত বছর পর্যন্ত বাইরে নেওয়া যাবে না?
প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে যে চার রাক‘আত সুন্নাত পড়া হয় তা কি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : ছালাত শেষে সালাম ফিরানোর সময় যে দু’বার সালাম দেওয়া হয় তা কাকে দেওয়া হয়?
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : শহীদ কারা? প্রকৃত শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৪/৪২৪) : ছহীহ মুসলিম ২৬১ নং হাদীছে গোফ খাটো করা, দাড়ি ছেড়ে দেওয়া, বগলের লোম উপড়ানো ও নাভীর নীচের লোম কাটা ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে। এক্ষণে এগুলি কি মুস্তাহাব আমল হিসাবে গণ্য হবে? - -আব্দুস সালামইসলামপুর, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
আরও
আরও
.