উত্তর
: ‘কুনূতে নাযেলাহ’ ফজর ছালাতে অথবা সব ওয়াক্তে ফরয ছালাতের শেষ রাক‘আতে
রুকূর পরে দাঁড়িয়ে ‘রববানা লাকাল হাম্দ’ বলার পরে দু’হাত উঠিয়ে সরবে পড়তে
হয়। অবস্থা বিবেচনা করে ইমাম আরবীতে দো‘আ পড়বেন ও মুক্তাদীগণ ‘আমীন’ ‘আমীন’
বলবেন (বুখারী হা/৪৫৬০; মুসলিম হা/৬৭৫; আবুদাঊদ হা/১৪৪৩; মিশকাত হা/১২৮৮-৯০; আলবানী, ছিফাতুছ ছালাত ১৫৯ পৃ.; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৮-৪৯)। রাসূল (ছাঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি বা শক্তির বিরুদ্ধে এমনকি এক মাস যাবৎ একটানা বিভিন্নভাবে দো‘আ করেছেন (আবুদাঊদ হা/১৪৪৫; নাসাঈ হা/১০৭৯; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৬৯ পৃ.)। তবে রাসূল (ছাঃ) জীবনের শেষাবধি ফজরের ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠের বিষয়ে যে হাদীছটি এসেছে সেটি যঈফ (যঈফাহ হা/৫৫৭৪)।
অতএব সারা বছর ধরে ফজর ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যাবে না। বরং বিশেষ
পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে যেকোন ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা সুন্নাত।
প্রশ্নকারী : মাসঊদ করীম, মালয়েশিয়া।