উত্তর : কুরআনের ভাষ্য থেকে বোঝা যায় যে, পূর্ববতী নবী-রাসূল ও তাদের উম্মতদের উপরও ছিয়াম ফরয ছিল। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হ’ল, যেমন তা ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর’ (বাক্বারাহ ২/১৮৩)। তবে তাদের উপর নির্দিষ্টভাবে রামাযানের ছিয়াম ফরয ছিল কি-না কিংবা তাদের উপর ফরযকৃত ছিয়ামের সংখ্যা ও ধরন সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে সরাসরি কোন বর্ণনা নেই। যদিও ছাহাবী ও তাবেঈদের পক্ষ থেকে কিছু আছার এসেছে। যেমন মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, তাদের উপর প্রতি মাসে তিনটি করে ও আশূরার ছিয়াম ফরয ছিল। আর ছিয়ামগুলো মুসলমানেরা মদীনা আসার পূর্ব পর্যন্ত বরং মদীনাতে গিয়েও ১৭ বা ১৯ মাস পালন করেছেন। রাসূল (ছাঃ) মদীনায় হিজরত করলে ঐগুলো নফল হিসাবে থেকে যায় এবং রামাযানের ছিয়াম ফরয করা হয় (হাকেম হা/৩০৮৫; আহমাদ হা/২২১৭৭; ইরওয়া)। মুজাহিদ বলেন, প্রত্যেক জাতির উপর রামাযানের ছিয়াম ফরয ছিল। শা‘বী ও অন্যান্যরা বলেন, ইহুদী ও নাছারাদের উপর রামাযানের ছিয়াম ফরয করা হয়। পরে তারা সময়ের পরিবর্তন করে। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তারা সুস্থ হওয়ার জন্য আরো দশটি করে ছিয়াম পালনের মানত করলে পরে তা ৫০টিতে রূপান্তরিত হয়। হাসান বছরীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমাদের পূর্ববর্তী সকল উম্মতের উপর এক মাস ছিয়াম ফরয ছিল (তাফসীরে ইবনু কাছীর ১/৪৯৭)। হাফেয ইবনু জারীর আত-তাবারী এসকল বর্ণনার সমন্বয় করে বলেন, ইবরাহীম (আঃ)-এর পরবর্তী সকল নবী ও তাদের অনুসারীদের প্রতি একমাস ছিয়াম পালন ফরয ছিল। আর এরও পূর্ববর্তী যারা ছিল তাদের উপর আইয়ামে বীযের তিনটি ছিয়াম ফরয ছিল (তাফসীরে তাবারী ৩/৪১২)






প্রশ্ন (১১/৫১) : প্রসবকালীন অথবা গর্ভকালীন মৃত্যুবরণকারী মা শহীদের মর্যাদা পাবেন কি?
প্রশ্ন (২৮/২৮) : হজ্জ পালনকারীগণ প্রতিদিন বারবার বায়তুল্লাহ নফল তাওয়াফ করে। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে বারবার তাওয়াফ করতেন কি?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : ফজরের আযানে الصلوة خير من النوم বলতে হবে কি? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩০/১৯০) : রামাযান মাসে ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে তার কাফফারা কি? রামাযানের বাইরে ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলেও কি কাফফারা ওয়াজিব? মিসকীনকে খাদ্য দানের পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : ‘আমার উম্মতের মধ্যে সবার আগে আমি মদীনাবাসীর জন্য শাফা‘আত করব, অতঃপর মক্কাবাসীর, অতঃপর ত্বায়েফবাসীর জন্য’-মর্মে ত্বাবারাণীতে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি? - -রোকনুয্যামান, সরকারী আযীযুল হক কলেজ, বগুড়া।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : যিনি মুরশিদ তিনি রাসূল। কখনো তিনি খোদা হন। এ কথা শুধু লালন নয় কুরআনও বলে। এর প্রমাণে তারা আলে ইমরান ৩১; নিসা ৮০, ১৫০; কাহ্ফ ১১০ আয়াত দলীল হিসাবে পেশ করে। উক্ত দাবী কি সঠিক? লালনের ভক্ত এই শ্রেণীর লোকদের অবস্থা পরকালে কী হবে?
প্রশ্ন (৪০/৩২০) : ইমাম জুম‘আর ছালাতের প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতিহার পর সূরা মুনাফিকুন-এর ৯ম আয়াত পাঠ করেছেন। কিন্তু ১০ম আয়াতের অর্ধেক পাঠের পর বাকীটা মনে না আসায় রুকূতে চলে যান। ২য় রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাওছার পাঠ করেছেন। এতে ‘ছালাত হয়নি’ বলে আরেকজন হাফেয জোর করে ইমাম ছাহেবকে ছালাত পুনরায় পড়াতে বাধ্য করেন। এবিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলতে হবে। বাম দিক দিয়ে চললে পাপ হবে। শরী‘আতে এরূপ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : সমাজে প্রচলিত আছে ‘জমি বিক্রি করে ব্যবসা করলে নাকি তাতে বরকত হয় না। এর সত্যতা কি? অনুরূপ ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না, তা তোমাদেরকে দুনিয়ামুখী করে তুলবে’ এ কথাকি ঠিক?
প্রশ্ন (৩০/২৩০) : দাড়ি শেভ করা লোক ছালাতে ইমামতি করতে পারবে কী?
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : কোন বই বা পত্রিকায় অন্যান্য লেখার সাথে কুরআনের আয়াত লেখা থাকলে সেগুলো কি পুড়িয়ে ফেলতে হবে? না কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে?
প্রশ্ন (৪০/৪০০) : মসজিদের মুছল্লী সংকুলান হয় না। এমতাবস্থায় মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য পার্শ্ববর্তী কবরগুলোকে শামিল করে মসজিদের পিলার দেওয়া হয়েছে। নীচতলায় প্রাচীর দিয়ে কবরগুলোকে মসজিদ থেকে পৃথক করা হয়েছে। তবে উপর তলা কবরস্থানের উপর নির্মিত হয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? না গেলে বিকল্প করণীয় কি?
আরও
আরও
.