উত্তরঃ আবূ মাহযূরাহ্ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে আযানের নিয়ম শিখিয়ে দিন। ... তিনি তাকে আযানের শব্দগুলো শিখিয়ে দেন এবং বলেন, যদি সকালের ছালাত হয় তাহ’লে তুমি বলবে, ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্ নাঊম, আছ-ছালাতু খাইরুম মিনান্ নাঊম’... (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৬৪৫, ছহীহ আবূদাঊদ হা/৫০০)। আলোচ্য হাদীছে সকালের ছালাত (صلاة الصبح) দ্বারা যে ফজরের ফরয ছালাতের আযানই হবে, তা খুব সহজেই বুঝা যায়। তাছাড়া তাহাজ্জুদের ছালাতকে কোন হাদীছেই সকালের ছালাত বলা হয়নি। সে কারণ আবূ মাহযূরাহ্ হ’তে বর্ণিত যে হাদীছে বলা হয়েছে প্রথম আযানের কথা সে আযান দ্বারা ফজরের ছালাতের আযানকেই বুঝতে হবে। কারণ ইক্বামতকে অন্য হাদীছে দ্বিতীয় আযান হিসাবে উল্লে­খ করা হয়েছে। এছাড়া ‘প্রথম আযান’ দ্বারা যে ফজরের ছালাতের আযানকে বুঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে আবূ মাহ্যূরাহ হ’তে বর্ণিত আরেকটি হাদীছ দ্বারা, যাতে বলা হয়েছে, আবূ মাহ্যূরাহ ফজরের আযানে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিন... বলেছেন (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৫০৪)

ছহীহ বুখারী এবং মুসলিমে বর্ণিত হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাত উপস্থিত (অর্থাৎ ছালাতের সময়) হয়ে যাবে তখন তোমাদের কেউ যেন আযান দেয়’। অতএব ছালাতের সময় হ’লে যখন ফজরের ফরয ছালাতের জন্য আযান দেয়া হবে তখনই ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাউম’ বলতে হবে। আর ফজরের ওয়াক্তের পূর্বের আযান ছালাতের সময় হয়ে যাওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়। অতএব যেহেতু সে আযান ছালাতের সাথে সম্পৃক্ত নয় সেহেতু ঐ আযানে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম ...’ বলার কোন প্রশ্নই আসে না।

আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, মুওয়ায্যিন যখন ফজরের আযানে হাইয়া ‘আলাল ফালাহ্ বলবে তখন (এর পরেই) বলবে, ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান ...’ (বায়হাক্বী)। অতএব যে হাদীছে বলা হয়েছে ‘প্রথম ফজরের আযানে’ এর দ্বারা ফজরের ফরয ছালাতের প্রথম আযান বুঝতে হবে। আর ইক্বামত হচ্ছে দ্বিতীয় আযান।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহ’লে ফজরের ফরয ছালাতের পূর্বের আযানটি কি জন্য দেয়া হয়? এক হাদীছে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বেলাল রাতে (রাত থাকতেই) আযান দেয় তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগানোর জন্য ও ক্বিয়ামকারীকে (তাহাজ্জুদের ছালাত আদায়কারীদেরকে) ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে (ছহীহ নাসাঈ হা/৬৪১)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বেলাল রাতে আযান দেয়। অতএব তোমরা খানাপিনা অব্যাহত রাখো যে পর্যন্ত ইবনু উম্মে মাকতূম আযান না দেয়’ (বুখারী ‘আযান’ অধ্যায় হা/৬২৩)। বেলালের আযান যে সাহরী খাওয়ার জন্য তা এ দু’হাদীছ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। অতএব যে আযান ফজরের ছালাতের জন্য হবে সে আযানেই ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাউম’ বলতে হবে। এটাই সুন্নাত।






বিষয়সমূহ: মসজিদ
প্রশ্ন (২৮/২৬৮) : জনৈক আলেম বলেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথে নগ্ন একটি মহিলা জিন থাকে। তাই যারা মূর্তি পূজা করে তারা মূলত ঐ নগ্ন জিনের পূজা করে। উক্ত দাবী কি সঠিক
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : গায়ের মাহরাম নারীর সাথে কথপোকথন ও চলাফেরার ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক?
প্রশ্ন (১৩/১৭৩) : জামা‘আত চলাকালীন সময়ে ইমাম ছাহেব তেলাওয়াতে কোন ভুল করলে বা কোন আয়াতাংশ ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিতে হবে কি? এছাড়া মুছল্লীদেরকেও কি এই সিজদা দিতে হবে?
প্রশ্ন (৮/৪৮) : আবু জাহল ও ইরাশীর কাহিনী কি সত্য?
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩): তাবলীগ জামা‘আতের জনৈক ব্যক্তি দাবী করেছেন যে, পেশাব করার পর ৪০ কদম হাঁটতে হবে। কারণ পানি ব্যবহার করে উঠে দাঁড়ালে ফোঁটায় ফোঁটায় পেশাব পড়ে কাপড় নাপাক হয়ে যায়। ফলে ছালাত হবে না। তাদের উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (১২/১২) : কাদিয়ানীদের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (১২/৪১২) : আমাদের এলাকায় বন্ধক দু’ভাবে হয়ে থাকে। যেমন আমার এক বিঘা জমি আছে, টাকার প্রয়োজন, কিন্তু জমি বিক্রি করা সম্ভব নয়। অন্য একজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আমার জমি তাকে দিলাম। সেক্ষেত্রে যতদিন টাকা ফেরত না দিচ্ছি ততদিন এই জমি তার দখলে থাকবে এবং তিনি চাষাবাদ করবেন এবং এর থেকে প্রাপ্ত সকল ফসল তিনি নিজেই ভোগ করবেন। দ্বিতীয়তঃ জমি আমার দখলে থাকবে এবং আমিই এর চাষাবাদ করবো। যদি তিনি চাষাবাদের খরচ বহন করেন তাহ’লে ফসলের অর্ধেক ভাগ পাবেন আর চাষাবাদের খরচ বহন না করলে ৩ ভাগের এক ভাগ ফসল পাবেন। আমি বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি প্রথম নিয়মটি স্পষ্ট সূদ। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিতীয় নিয়মে বন্ধক দিলে সেটা কি সূদ হবে?
প্রশ্ন (৯/২৮৯) : হিজড়াদের সামনে পুরুষ বা নারীদের পর্দার বিধান কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : মহিলারা কি মহিলাদের মধ্যে জানাযার ইমামতি করতে পারবে? - -মোকছেদ আলী, নীলফামারী।
প্রশ্ন (১২/৫২) : শরী‘আতে দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে ছহীহ দলীল না পাওয়ার ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছ ও ইজতিহাদের মধ্যে কোনটি অগ্রগণ্য হবে? বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২২/২৬২) : কেউ যদি দ্বীনী বিধি-বিধান সম্পর্কে জ্ঞানার্জনে গাফেলতি করে, তবে তাকে বাধ্য করে দ্বীন শেখানো যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : তারাবীহ পড়িয়ে হাদিয়া দাবী করা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.