উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আযান ও ইক্বামতের জবাব এবং আযান পরবর্তী দো‘আ পাঠের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়ায্যিনের পিছে পিছে আযানের বাক্যগুলি অন্তর থেকে পাঠ করে..., সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (মুসলিম হা/৩৮৫; মিশকাত হা/৬৫৮, ৬৭৬)। অন্যত্র তিনি এরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তদ্রূপ বল’। অতঃপর আমার উপর দরূদ পড়। কেননা যে আমার উপর একবার দরূদ পড়ে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। তারপর আমার জন্য আল্লাহর নিকট ‘ওয়াসীলা’ চাও...। যে ব্যক্তি আমার জন্য ‘ওয়াসীলা’ চাইবে তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে’ (মুসলিম হা/৩৮৪; মিশকাত হা/৬৫৭)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনে বলবে, ‘আশহাদু আল লা ইলাহা... রাযীতু বিল্লাহি... ওয়াবিল ইসলামে দীনা’ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে (মুসলিম হা/৩৮৬; মিশকাত হা/৬৬১)।
ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুওয়াযযিনরা তো আমাদের উপর ফযীলত প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কিভাবে তাদের সমান ছওয়াব পাব? তিনি বলেন, মুওয়াযযিনরা যেরূপ বলে তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আযান শেয করবে! তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রূপ ছওয়াব প্রাপ্ত হবে’ (আবুদাউদ হা/৫২৪; ছহীহ আত-তারগীব হা/২৫৬)। আর ইক্বামতের জবাব একইভাবে দিবে। উল্লেখ্য যে, আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই হাদীছে ‘আযান’ বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৬২)।