উত্তর : এক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট প্রাণ খুলে দো‘আ করতে হবে। আর দো‘আ কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় হ’ল শেষ রাত্রি (দো‘আ কবূলের শর্তাবলী দ্রষ্টব্য : ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৬৮ পৃঃ)। আল্লাহ চাইলে যেকোন সময় দো‘আ কবুল করতে পারেন। এজন্য বায়তুল্লাহ গমন বা কোন মানত করা শর্ত নয়। আর সেই সাথে সাথে ঋণ পরিশোধের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। কেননা ঋণ পরিশোধ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করলে হাশরের মাঠে নিজের নেকী থেকে ঋণের দাবী পূরণ করতে হবে (বুখারী হা/২৪৪৯; মিশকাত হা/৫১২৬)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের আত্মা ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হয় তার ঋণের কারণে, যতক্ষণ না তার পক্ষ হ’তে ঋণ পরিশোধ করা হয়’ (তিরমিযী হা/১০৭৮; মিশকাত হা/২৯১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৭৯)। সাথে সাথে আল্লাহর নিকটে ঋণমুক্তির জন্য দো‘আ করতে হবে ‘আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগ্নিনী বিফায্লিকা ‘আম্মান সিওয়া-কা’। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন!

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘এই দো‘আর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’ (তিরমিযী হা/৩৫৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯; ছহীহাহ হা/২৬৬)। সর্বোপরি ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করলে আল্লাহ সাহায্য করবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাকে ধ্বংস করেন’ (বুখারী হা/২৩৮৭; মিশকাত হা/২৯১০)। কোনভাবেই সম্ভব না হ’লে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, দাতব্য সংস্থা, সংগঠন বা সরকার তার ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করবে। আর একারণেই শরী‘আতে যাকাতের ৮টি খাতের একটি খাত হিসাবে ঋণমুক্তিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সম্ভাব্য সকল উপায় গ্রহণের পরও ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা না করা গেলে ঋণদাতার নিকট ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেক্ষেত্রে ঋণদাতারও উচিত সত্যিকারের অক্ষম ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া। কেননা আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে অবকাশ দিবে অথবা ঋণ ক্ষমা করে দিবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট হ’তে মুক্তি দিবেন’ (মুসলিম হা/৩০০৬; মিশকাত হা/২৯০৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন স্বীয় ছায়ার নীচে ছায়া দান করবেন’ (মুসলিম হা/১৫৬৩; মিশকাত হা/২৯০৪)






প্রশ্ন (১৬/৫৬) : সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করায় বিভিন্ন বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪০/৪৮০) : জুম‘আর খুৎবা বসে দেওয়া যাবে কি? - -আব্দুর রহীম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/১০১) : কারো নিকটে মুগ্ধকর কিছু দেখলে ‘বা-রাকাল্লাহ’, ‘মা-শাআল্লাহ’ বা ‘হাযা মিন ফাযলি রববী’ ইত্যাদি বলতে হবে কি? জনৈক আলেম বলেন, এরূপ না বললে তাতে চোখ লেগে ক্ষতির কারণ হবে। একথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : আমার স্ত্রী পাইল্সে আক্রান্ত। আমার যেলায় অভিজ্ঞ কোন মহিলা সার্জন নেই। অন্য যেলায় নিয়ে দেখানোও আমার সাধ্যের বাইরে। এক্ষণে পুরুষ চিকিৎসক দেখানো জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/১৩৭) : আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমি এমন তিনটি জিনিস ভালোবাসি, লোকে যা ঘৃণা করে। দরিদ্রতা, অসুস্থতা এবং মৃত্যু। কারণ দরিদ্রতা মানুষকে বিনয়ী করে, অসুস্থতায় গুনাহ মোচন হয় এবং মৃত্যুর ফলে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়। এ বর্ণনার সত্যতা আছে কি? - -নাছিরুদ্দীন, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১১/৫১) : সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে এক সন্তান থেকে অপর সন্তানের মধ্যে কত বছরের ব্যবধান রাখা উচিৎ? আর বিরতির সময় প্রচলিত যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : স্বামী স্ত্রী থেকে তিন মাসের অধিক দূরে থাকার পর তালাক প্রদান করলে স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে কি?
প্রশ্ন (২০/৬০) : মসজিদে অনুদানের জন্য ডিসি অফিসে আবেদন করলে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু শর্ত হচ্ছে তারা এর এক তৃতীয়াংশ টাকা কেটে নিবে। তবে কাগজে এক লক্ষ টাকাই দেখাতে হবে। এমন অনুদান নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : জনৈক ইমাম ভুলবশত জানাযার ছালাতে দ্বিতীয় তাকবীরে জানাযার দো‘আ ও তৃতীয় তাকবীরে দরূদ পাঠ করেছেন। এক্ষণে উক্ত ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/২৩৬) : ওযূ অবস্থায় মোযা পরে কতক্ষণ যাবৎ পা মাসাহ করা যাবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : ‘আমরা সত্বর তোমার উপর নাযিল করব ভারী কিছু বিষয়’-আয়াতটির ব্যাখ্যা কি? অনেকে এ আয়াত দ্বারা ইক্বামতে দ্বীন বুঝাতে চান। এটা সঠিক কি?
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : পল্লী চিকিৎসক হিসাবে আমাকে অনেক সময় মহিলা রোগীকে ইনজেকশন দিতে হয়, হাত বা কোমরের কাপড় সরিয়ে পুশ করতে হয়। এটা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.