উত্তর : আরবরা কোথাও যাত্রার প্রাক্কালে বা কোন কাজের পূর্বে পাখি উড়িয়ে তার শুভাশুভ লক্ষণ নির্ণয় করত। পাখি ডান দিকে গেলে শুভ মনে করে সে কাজে নেমে পড়ত। আর বামে গেলে অশুভ মনে করে তা হ’তে বিরত থাকত। একেই ‘শুভলক্ষণ’ বা ‘কুলক্ষণ’ বলা হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ‘যখন ফেরাঊন ও তার প্রজাদের কোন কল্যাণ দেখা দিত, তখন তারা বলত, এটা আমাদের জন্য হয়েছে। আর যদি কোন অকল্যাণ হ’ত, তারা তখন মূসা ও তাঁর সাথীদের ‘কুলক্ষণে’ বলে গণ্য করত’ (আ‘রাফ ১৩১)

বর্তমানে মাস, দিন, সংখ্যা, নাম ইত্যাদিকে দুর্ভাগ্য বা অশুভ প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমন অনেক দেশে হিজরী সনের ছফর মাসে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকা হয়। প্রতি মাসের শেষ বুধবারকে কুলক্ষণে মনে করা হয়। বিশ্বজুড়ে আজকাল ১৩ সংখ্যাকে ‘অলক্ষুণে তের’ বা Unluckey thirteen বলা হয়। অনেক বিক্রেতা প্রথম ক্রেতার ক্রয় না করাকে অশুভ গণ্য করে। অনেকে কানা, খোঁড়া, পাগল ইত্যাকার প্রতিবন্ধীদের কাজের শুরুতে দেখলে মাথায় হাত দিয়ে বসে। অথচ এ জাতীয় আক্বীদা পোষণ করা হারাম ও শিরক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, الطَّيَرَةُ شِرْكٌ ‘কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৫৮৪)

তবে সুলক্ষণ-কুলক্ষণের ধারণা মনে জন্ম নেয়া স্বভাবগত ব্যাপার, যা সময়ে হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। এর একমাত্র চিকিৎসা হ’ল আল্লাহর উপর পূর্ণভাবে তাওয়াক্কুল বা ভরসা করা। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার মনে কুলক্ষণ সংক্রান্ত কিছুই উঁকি দেয় না। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা তা দূর করে দেয়’ (আবুদাঊদ হা/৩৯১০; মিশকাত হা/৪৫৮৪)






বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আমরা জানি, মেঘের উপরে থাকে পজিটিভ চার্জ আর নীচে থাকে নেগেটিভ চার্জ। যেহেতু বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এই পজিটিভ চার্জ ও নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে উপর থেকে নীচের দিকে চার্জের নির্গমন ঘটে। এর ফলে শক্তির নিঃসরণ ঘটে, শব্দ হয় ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। কিন্তু হাদীছে (তিরমিযী হা/৩১১৭) এই শব্দকে ফেরেশতাদের হাকডাক বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ হাকডাক দিয়েই মেঘমালাকে নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৮/২৭৮) : মাওলানা আকরম খাঁ ও সৈয়দ আহমাদ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সীনা চাক বা বক্ষবিদারণ বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণকালে কারো স্বপ্নদোষ হ’লে সফর অবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৮/১২৮) : বিবাহ করার পর স্ত্রীকে পসন্দ হচ্ছে না। তার কোন দোষ নেই। আচার-ব্যবহার ভালো। কিন্তু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। এক্ষণে আমি তালাক দিলে গোনাহগার হব কি?
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : সন্তান প্রসবের পর চল্লিশ দিনের আগে যদি নিফাস বন্ধ হয়, তাহ’লে কি ছালাত, ছিয়াম পালন করতে হবে?
প্রশ্ন (১০/৫০) : আমার এক আত্মীয় তার অধিকাংশ জমি ছেলেদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে, অথচ মেয়েদের কিছুই দেননি। এক্ষণে পরকালে বাঁচার জন্য পিতার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/১৪০) : কুরআনের বঙ্গানুবাদ পড়ার সময় সিজদার আয়াত আসলে সিজদা করতে হবে কি? ছালাতের নিষিদ্ধ সময়ে সিজদায়ে তেলাওয়াত দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৯৩) : রামাযানে নফল ইবাদত ফরয ইবাদতের সমান এবং ফরয ইবাদত ৭০টি ফরয ইবাদতের সমান। এ হাদীছটির কোন সত্যতা আছে কি? - -নাফীস, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (২০/২২০) : রাক‘আত বা জামা‘আত শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকায় দৌড়ে গিয়ে জামা‘আতে শরীক হওয়া যাবে কি? - -আখতারআন্ধারিয়াপাড়া, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : আমি একজন ব্যবসায়ী। শারঈ বিধান অনুযায়ী আমি প্রতিটি পণ্যে কতভাগ লাভ করতে পারি? - -আহসানুল্লাহ, ফুলতলা, বগুড়া।
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : জনৈক মেয়ে বিয়ের তিনদিনের মাথায় ‘খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কোন নির্জনবাস হয়নি। এক্ষণে ঐ মেয়েকে কতদিন ইদ্দত পালন করতে হবে? - -আতাউর রহমান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : তাকবীরে তাহরীমা বা সিজদার সময় হাতের আঙগুল মিলিয়ে রাখতে হবে কি?
আরও
আরও
.