উত্তর : বারা
বিন ‘আযেব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ঈদুল আযহার দিন আমরা
প্রথম ছালাত দিয়ে শুরু করি। অতঃপর ফিরে আসি এবং কুরবানী করি। এক্ষণে যে
ব্যক্তি এটা করল, সে আমাদের সুন্নাতের অনুসরণ করল। আর যে ব্যক্তি তার
পূর্বে করল, সে তার নিজের পরিবারের জন্য গোশত পাঠালো। এতে কুরবানীর কোন অংশ
নেই’ (বুখারী হা/৯৬৫, মুসলিম হা/১৯৬১, মিশকাত হা/১৪৩৫)। এখানে ছালাত বলতে খুৎবাসহ ছালাত বুঝানো হয়েছে। ইবনু কুদামা বলেন, ছালাত ও খুৎবা সম্পন্ন হওয়ার পরই কুরবানী করা হালাল হবে (মুগনী ৯/৪৫২, মাসআলা নং ৭৮৮৩)।
এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম কেউ খুৎবার পূর্বে কুরবানী
করেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। অতএব এরূপ কাজ হ’তে বিরত থাকাই কর্তব্য।
এক্ষণে যদি কেউ বাধ্যগত অবস্থায় খুৎবার পূর্বে কুরবানী করে, তবে তার
বিষয়টি বাধ্যগত বলেই গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’
(তাগাবুন ১৬)।