উত্তর : উক্ত আয়াতে ‘ভারী কিছু বিষয়’-এর অর্থ পূর্ণ কুরআন ও ইসলাম (কুরতুবী)। ক্বাতাদাহ বলেন, ‘আল্লাহর কসম! ভারী হ’ল এর ফরয সমূহ এবং দন্ডবিধি সমূহ’। মুজাহিদ বলেন, ‘এর হালাল ও হারাম সমূহ’। মুহাম্মাদ বিন কা‘ব আল-কুরাযী বলেন, ‘মুনাফিক ও কাফিরদের জন্য ভারী’ (কুরতুবী)। তবে ঈমানদারগণের জন্য ইসলামের বিধান পালন কখনোই ভারী নয়। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে। আর তা অবশ্যই কঠিন কাজ, বিনীত বান্দাদের জন্য ব্যতীত’ (বাক্বারাহ ২/৪৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই এ দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি এতে কঠোরতা আরোপ করবে, সে পরাভূত হবে। অতএব তোমরা সঠিক পথে থাক এবং মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর ও মানুষকে সুসংবাদ প্রদান কর’ (বুখারী হা/৩৯; মিশকাত হা/১২৪৬)। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ছালাত ও ইবাদতের মাধ্যমে মানুষের মন-মানসিকতাকে আগেই প্রস্ত্তত করে নিতে হয়। এগুলি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ‘ট্রেনিং কোর্স’ নয়। যেমনটি আধুনিক কালের অনেক রাজনৈতিক মুফাসসির ধারণা করে থাকেন (আবুল আ‘লা মওদূদী, খুত্ববাত (দিল্লী-৬ : মারকাযী মাকতাবা ইসলামী, ১৯৮৭ খৃ.) ৩২০ পৃ.)। বরং ইসলামী রাষ্ট্র থাক বা না থাক, ইসলামী ইবাদত সমূহ সর্বাবস্থায় ফরয। আর ‘ট্রেনিং কোর্স’ হয় একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য।

অত্র আয়াত ইসলামের সূচনাকালে মক্কায় নাযিল হয়েছে। অতঃপর ধীরে ধীরে তেইশ বছরে গিয়ে মদীনায় ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। এর মধ্যে শিক্ষণীয় বিষয় এই যে, বড় বোঝা বহন করার জন্য বড় হৃদয়ের দৃঢ়চিত্ত মানুষ আবশ্যক। আর সেজন্য সর্বাগ্রে নিশুতি রাতে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে তার প্রতি একান্তভাবে নির্ভরশীল হওয়া ও আধ্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। হাদীছে ছালাতকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত এবং ইসলামের খুঁটি বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/২৬১৬; মিশকাত হা/২৯; ছহীহাহ হা/১১২২)। সমাজের পুঞ্জিভূত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে জিহাদ করা দুর্বলচিত্ত ও সুবিধাবাদী লোকদের মাধ্যমে কখনো সম্ভব নয়। বস্ত্ততঃ ইসলাম হ’ল আল্লাহ প্রেরিত ‘স্পষ্ট ও স্বচ্ছ দ্বীন’ (আহমাদ হা/১৫১৯৫; মিশকাত হা/১৭৭; ইরওয়া হা/১৫৮৯)। একে বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছ হৃদয়ের মুমিন আবশ্যক। যে সাহসের সাথে সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে পারে। নইলে সে ধ্বংস হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে স্পষ্ট দ্বীনের উপর ছেড়ে যাচ্ছি। যার রাত্রি হ’ল দিনের মত। আমার পরে এ থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে ধ্বংস হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৪৩; হাকেম হা/৩৩১; আহমাদ হা/১৭১৮২; ছহীহাহ/৯৩৭)। অতএব উক্ত আয়াত থেকে ইক্বামতে দ্বীন অর্থ গ্রহণ করা সঠিক হবে না।

প্রশ্নকারী : নিয়ামুল হাসান, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ







প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : কোন ব্যক্তি যদি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ্‌ অনুযায়ী ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ এবং হালাল রুযি ভক্ষণ করে। কিন্তু সে যদি কুরআন-সুন্নাহর তাবলীগ না করে বা দ্বীনের দাওয়াত মানুষের মাঝে প্রচার না করে, তা হলে এর জন্য কি তাকে জাহান্নামে যেতে হবে?
প্রশ্ন (৩৬/৩৫৬) : আল্লাহ রূহ সৃষ্টি করার পর কাউকে জান্নাতী কাউকে জাহান্নামী হিসাবে আগেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। এক্ষণে কোন জান্নাতী স্বীয় বদআমলের কারণে যেমন আত্মহত্যা করার কারণে জাহান্নামে যেতে পারে কি?
প্রশ্ন (১৫/২১৫) : বুখারীর ৩৮৪৯ নং হাদীছ রয়েছে, জাহেলী যুগে কিছু বানর একটি বানরকে ব্যভিচারের কারণে হত্যা করেছিল। এর দ্বারা অনুমিত হয় যে পশুদের মাঝেও রজমের বিধান রয়েছে। হাদীছটির বোধগম্য ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : একদা মু‘আবিয়া (রাঃ) মদীনার মসজিদে এশার ছালাতের ইমামতি করেন। তিনি ‘সূরা ফাতিহার শুরুতে’ বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রাহীম’ নীরবে পাঠ করেন। ফলে আনছার ও মুহাজির ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি ছালাত চুরি করলেন না ভুলে গেলেন? পরবর্তীতে তিনি আর কখনো নীরবে পড়েননি। উক্ত ঘটনা কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : আত-তাহরীক ডিসেম্বর ২০১১ সংখ্যায় ‘পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর কাহিনী’ প্রবন্ধে উযযা মূর্তি চূর্ণ করা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, উয্যা একটি মূর্তির নাম। যার প্রাণ নেই, হাঁটা চলার শক্তি নেই। তাহ’লে খালেদ যে নগ্ন মহিলাকে বেরিয়ে আসতে দেখেন এবং দ্বিখন্ডিত করে ফেললেন আসলে সেটি কি ছিল?
প্রশ্ন (১২/৪১২) : মৃতের জন্য দ্রুত দাফন করার বিধান থাকা সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ)-এর দাফন মৃত্যুর দু’দিন পরে সম্পন্ন হওয়ার কারণ কি?
প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) : মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জায়গায় মাদ্রাসা নির্মাণ করা বা মসজিদের জন্য দানকৃত টাকা মাদ্রাসায় দেওয়া যাবে কী?
প্রশ্ন (৩০/৩১০) : উভয় তাশাহহুদের সময় বসার নিয়ম বিস্তারিত জানতে চাই। - -রাবেয়া বেগম, সাপাহার, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৭/১৭) : এ বছর কুরবানীর চামড়ার মূল্য অল্প হওয়ায় অনেকে তা ফেলে দিয়েছে বা মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। এ কাজ কি সঠিক হয়েছে? - -এম, এ, মান্নান, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/৮২) : বুখারী ১ম খন্ড হাদীছ নং ৬৯১ ও ৬৯৪ হতে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূ থেকে মাথা উঠিয়ে হাত তুলে রেখে ... লাকাল হামদ পর্যন্ত বলতেন। আবার আইনে তুহফা সালাতে মুস্তফা ১ম খন্ড ২৪৪-২৫০ পৃষ্ঠায় হাত তুলে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া দু’টি করা যাবে বলে দলীল সহ আলোচনা করা হয়েছে। ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)-এ শুধু হাত তোলার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এর সময় উল্লেখ করা হয়নি। এর সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৪/১৮৪) : ইসলাম গরীব অবস্থায় শুরু হয়েছিল... গরীবদের মাঝেই তা ফিরে যাবে। এখানে গরীব বলতে মক্কা-মদীনাকে বুঝানো হয়েছে কি? হাদীছটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -উম্মে হাবীবা, রংপুর।
প্রশ্ন (২৫/৪২৫) : আমার ভাই সূদী ব্যাংকে চাকুরী করে। এক্ষণে আমার মা তার নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবে কি? - -শাহরিয়ার ইসলাম, নাটোর।
আরও
আরও
.