উত্তর : আল্লাহ
প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন,
‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে
সবকিছু। অতঃপর তিনি মনঃসংযোগ করেন আকাশের দিকে। অতঃপর তাকে সপ্ত আকাশে
বিন্যস্ত করেন। আর তিনি সকল বিষয়ে জ্ঞাত’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। তিনি
আরো বলেন, আপনি বলে দিন, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে পৃথিবী
সৃষ্টি করেছেন? ...তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল
ধোঁয়া।..’ (ফুছছিলাত/হামীম সাজদাহ ৪১/৯-১১)। ইবনু কাছীর,
শাওকানীসহ জমহূর মুফাসসিরগণ বলেন, আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেন তারপর
আসমান সৃষ্টি করেন। কারণ যমীন হ’ল ভিত্তি। আর কোন কিছুর ভিত্তি প্রথমে
স্থাপন করা হয়, তারপর ছাদ’ (তাফসীর উক্ত আয়াত)।
তবে সূরা নাযি‘আতে এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। সেখানে এসেছে, তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন, না আকাশের সৃষ্টি? যা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি তার ছাদকে সুউচ্চ করেছেন। অতঃপর তাকে বিন্যস্ত করেছেন। ... পৃথিবীকে এর পরে তিনি বিস্তৃত করেছেন। সেখান থেকে তিনি নির্গত করেছেন পানি...’ (নাযি‘আত ৭৯/২৭-৩২)। প্রথমোক্ত আয়াতদ্বয়ের সাথে এ আয়াতটির বাহ্যিক বিরোধ সম্পর্কে মুফাসসিরগণ বলেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে যমীনকে অবিস্তৃত আকারে সৃষ্টি করেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেন। এরপর যমীনকে প্রসারিত করে তাতে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছ-পালা ইত্যাদি স্থাপন করেন’ (কুরতুবী, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ২৯ আয়াত; শানক্বীতী, আযওয়াউল বায়ান, তাফসীর সূরা ফুছছিলাত ১০ আয়াত)।