উত্তর : উক্ত বুঝ পুরোপুরি ভুল। কারণ ‘কালিমাতুল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহর আদেশ বাচক শব্দ ‘কুন’ যার অর্থ ‘হও’ আর তাতেই হয়ে যায়। অর্থাৎ ঈসা (আঃ) যেহেতু পিতা বিহীন এই পৃথিবীতে এসেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই ‘কুন’ শব্দ ব্যবহার করেন, আর তাতেই তিনি মাতৃগর্ভে চলে আসেন। ফলে তাকে ‘কালিমাতুল্লাহ’ বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘মারিয়াম বলল, হে আমার প্রতিপালক! কিভাবে আমার সন্তান হবে, অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি। তিনি বললেন, এভাবেই আল্লাহ সৃষ্টি করেন যা তিনি ইচ্ছা করেন। যখন তিনি কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন সে বিষয়ে শুধু বলেন ‘হও’। অমনি তা হয়ে যায় (আলে ইমরান ৩/৪৭)। অন্যত্র তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরূপ। তাকে তিনি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন। অতঃপর বলেন, হও। তখন হয়ে গেল (আলে ইমরান ৩/৫৯)। এখানে ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরূপ বলা হয়েছে। কেননা আল্লাহ আদমকে বিনা পিতা-মাতায় সৃষ্টি করেছেন। হাওয়াকে কোন নারী ছাড়াই কেবল আদমের দেহ থেকে সৃষ্টি করেছেন। ঈসাকে কোন পুরুষ ছাড়াই কেবল নারীর মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। বাকী প্রাণীজগতকে তিনি নারী ও পুরুষের মাধ্যমে সৃষ্টি করেন। তিনি যেভাবে খুশী সৃষ্টি করতে পারেন। এসব আল্লাহর অসীম কুদরতের নিদর্শন। সুতরাং এই শব্দ দ্বারা কখনই উদ্দেশ্যে নয় যে, তিনি আল্লাহর অংশ, যেমনটি খৃষ্টান সম্প্রদায় ধারণা করে।
প্রশ্নকারী : আহমাদ, সিংড়া, নাটোর।