উত্তর : হিজড়া সন্তান তিন ভাগে বিভক্ত। কেউ পুরুষাঙ্গ বিশিষ্ট। এরূপ সন্তানের জন্য দু’টি ছাগল আক্বীক্বা দিবে। কেউ নারী অঙ্গ বিশিষ্ট। এরূপ সন্তানের জন্য একটি ছাগল আক্বীক্বা দিবে (বায়হাক্বী হা/১২৫১৪; শানক্বীত্বী, শারহু যাদিল মুসতাক্বনে‘ ১৯/১৩৩)। কিছু হিজড়া সন্তান রয়েছে যাদের নারী বা পুরুষ হিসাবে পার্থক্য করা কঠিন। এরূপ সন্তানের আক্বীক্বার ব্যাপারে আল্লামা শানক্বীত্বী বলেন, বিদ্বানগণ এদের নারী হিসাবে গণ্য করে একটি ছাগল আক্বীক্বা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন (শারহু যাদিল মুসতাক্বনে‘ ২৭/১৩০)। অনুরূপভাবে এদের মীরাছের ব্যাপারেও মতপার্থক্য রয়েছে। তাদের মধ্যে নারী বা পুরুষালী বৈশিষ্ট্য কোনটা স্পষ্ট না হ’লে ইমাম মালেকসহ একদল বিদ্বানের মতে, তাদেরকে মীরাছের ক্ষেত্রে মুতাওয়াস্সিত বা মধ্যবর্তী ধরে নিতে হবে। অর্থাৎ তারা একইসাথে পুরুষের মীরাছের অর্ধেক এবং নারীর মীরাছের অর্ধেক পাবে (ইসলাম ওয়েব ফৎওয়া ক্রমিক ৪৬৭২৪)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রায্যাক, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।