উত্তর : এটি হাদীছ ও কবর আযাব অস্বীকারকারীদের বক্তব্য। যা সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। আল্লাহ বলেন, (১) আল্লাহ মুমিনদের দৃঢ় বাক্য দ্বারা মযবূত রাখেন ইহকালীন জীবনে ও পরকালে (ইব্রাহীম ১৪/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে কবরের আযাব সম্পর্কে। যখন তাকে বলা হবে, তোমার প্রতিপালক কে? সে বলবে, আমার প্রতিপালক আল্লাহ। আমার নবী মুহাম্মাদ’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫)। (২) তিনি বলেন, ‘অবশেষে ফেরাউনের সম্প্রদায়কে আল্লাহর কঠোর শাস্তি ঘিরে ধরে। আর আগুনকে তাদের সামনে সকালে ও সন্ধ্যায় পেশ করা হয়। আর যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে (সেদিন ঘোষণা করা হবে), ফেরাঊনের অনুসারীদেরকে কঠোরতম আযাবে প্রবেশ করাও’ (গাফের/মুমিন ৪০/৪৫-৪৬)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আহলে সুন্নাতের নিকট অত্র আয়াতই আলামে বারযাখে কবরের শাস্তি সাব্যস্ত হওয়ার মৌলিক ভিত্তি (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা মুমিন ৪৬ আয়াত)। (৩) আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘অচিরেই আমি তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। অতঃপর তারা কঠিন শাস্তির দিকে ফিরে যাবে’ (তওবা ৯/১০১)। হাসান বছরী ও ক্বাতাদাহ বলেন, দু’বার শাস্তি অর্থ রোগ-শোক ও বিপদাপদের মাধ্যমে প্রথমবার দুনিয়াবী শাস্তি এবং দ্বিতীয়বার কবরের শাস্তি’ (কুরতুবী, ইবনু কাছীর; দ্রঃ বুখারী জানাযাঅধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৫)। কবরের শাস্তির ব্যাপারে আয়েশা (রাঃ)-এর প্রশ্নের জবাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কবরের আযাব সত্য’ (বুখারী হা/১৩৭২; ছহীহাহ হা/১৩৭৭)। এছাড়া বহু ছহীহ হাদীছ দ্বারা এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।  

মোদ্দাকথা কবরের আযাবের বিষয়টি সম্পূর্ণ গায়েবের বিষয়, যে বিষয়ে মানবীয় যুক্তি প্রয়োগের অবকাশ নেই। আর গায়েবের খবর অস্বীকারকারী ব্যক্তি মুমিন নয় (বাক্বারাহ ২/২)। অতএব পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপরে নিঃশঙ্কচিত্তে আমাদের ঈমান আনতে হবে। অহেতুক সন্দেহ-দ্বন্দ্বের দোলাচলে পড়ে ইহকাল ও পরকাল হারানোর পিছনে কোন যুক্তি নেই।

প্রশ্নকারী : শহীদুল ইসলামচট্টগ্রাম।


 






প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : পরীক্ষার কারণে আমি কয়েকটি ছিয়াম রাখতে পারিনি। এক্ষেত্রে আমাকে কি ক্বাযা ও কাফফারা দু’টোই দিতে হবে? - -আনীসুল হক, বৃ-কুষ্টিয়া, বগুড়া।
প্রশ্ন (১০/৫০) : শ্যামুয়েল নামে কোন নবী কি দুনিয়াতে আগমন করেছিলেন? যদি এসে থাকেন, তবে তাঁর সংক্ষিপ্ত কাহিনী জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : লোকলজ্জার ভয়ে কোন গুনাহ ছেড়ে দিলে পাপ হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : জনৈক লেখক দাবী করেছেন, ইমাম আবু হানীফার জন্ম ৮০ হিজরীতে আর মৃত্যু ১৫০ হিজরীতে। ইমাম বুখারীর জন্ম ১৯৪ হিজরীতে আর মৃত্যু ২৫৬ হিজরীতে। সুতরাং আবু হানীফার কথা বাদ দিয়ে ইমাম বুখারীর সংগৃহীত হাদীছ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ ইমাম বুখারীর চেয়ে ইমাম আবু হানীফা অনেক পূর্ববর্তী। উক্ত দাবীর সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৭/২২৭) : এমন কোন নিয়মিত আমল বা দো‘আ আছে কি, যা নিয়মিত পাঠ করলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে নানা রোগ-ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে? - -সিলভিয়া খাতূনশিমুলতলী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (১৮/৩৭৮) : মাস বয়সী ছেলে রাতে আমার পোষাকে পেশাব করেছিল। সকালে ফজরের ছালাত আদায়ের পর বিষয়টি মনে এসেছে। এক্ষণে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৫৫) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ একবার বলবে, তার ৪ হাযার পাপ মাফ হয়ে যাবে। যতবার বলবে ততবার ৪ হাযার পাপ মাফ হয়ে যাবে। তার পাপ না থাকলে তার স্ত্রীর, তারপর তার মেয়ের পাপ মাফ হবে। উক্ত কথা কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৮/৩৪৮) : বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে দেখা যায়, আবুবকর (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ)-কে মারার জন্য কুনফুয নামক এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন। তার ছড়ির আঘাতে ফাতেমার গর্ভপাত হয়ে যায় এবং এর প্রভাবেই তিনি মারা যান। এই ঘটনার কোন সত্যতা আছে কি? - -আলতাফ হোসাইন, তেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আহলেহাদীছগণ ফিরক্বা নাজিয়াহ হওয়া সত্ত্বেও এদের মাঝে এত দলাদলির কারণ কি?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : একমাত্র আল্লাহর জন্য ইবাদত হওয়ার জন্য শর্ত কী কী? ব্যাখ্যা সহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি? এথেকে নিস্কৃতি পাওয়ার উপায় কি? - -জাহিদুল ইসলাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৪/৪৫৪) : কুরবানীর দিন কুরবানীর নিয়ত ছাড়া কয়েকজন মিলে গরু যবেহ করে খেতে পারবে কি?
আরও
আরও
.