উত্তর : কিয়ামতের এমন কিছু আলামত আছে যেগুলো ঘটে গেছে। আবার কিছু আলামত আছে যা বর্তমানে ঘটছে। আর কিছু আলামত আছে যা ভবিষ্যতে ঘটবে। আর কিয়ামতের বড় আলামতগুলোর ধারাবাহিকতা নিয়ে হাদীছে বিভিন্নরূপ বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়। এ সকল হাদীছের আলোকে বলা যায় যে, ধারাবাহিকভাবে প্রথমে ইমাম মাহদী, এরপর দাজ্জাল ও ঈসা (আঃ)-এর আগমন ঘটবে। অতঃপর ইয়াজূজ-মা’জূজের আগমন, সূর্য পশ্চিম আকাশে উদিত হওয়া, ভূপৃষ্ট থেকে (দাববাতুল আরয) প্রাণীর আগমন, আকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া, তিন স্থানে তিনটি ভূমিধ্বস (যা কেবল কাফিররা দর্শন করবে), সর্বশেষ আগুন কর্তৃক লোকদের তাড়িয়ে হাশরের ময়দানে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটবে (ফাৎহুলবারী ১৩/৮২-৯০)। হুযায়ফা ইবনু আসীদ আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা আলোচনা করছিলাম। এমতাবস্থায় রাসূল (ছাঃ) আমাদের নিকট আসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি নিয়ে আলোচনা করছ? তাঁরা বললেন, আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছি। তখন তিনি বললেন, কিয়ামত কায়েম হবে না যতক্ষণ না তোমরা দশটি বিশেষ নিদর্শন দেখবে। অতঃপর তিনি ধুম্র, দাজ্জাল, দাববাতুল আরয, পশ্চিম দিগন্ত হ’তে সূর্য উদিত হওয়া, মারইয়াম তনয় ঈসা (আঃ)-এর অবতরণ, ইয়াজূজ-মাজুজ এবং তিনবার ভূমি ধ্বসে যাওয়া তথা পূর্ব প্রান্তে একটি ভূমিধ্বস, পশ্চিম প্রান্তে একটি ভূমিধ্বস এবং আরব উপদ্বীপে একটি ভূমিধ্বসের কথা উল্লেখ করলেন। এ নিদর্শনসমূহের পর এক আগুন প্রকাশিত হবে ইয়ামান থেকে এবং মানুষকে তাড়িয়ে হাশরের ময়দানের দিকে নিয়ে যাবে (মুসলিম হা/২৯০১; মিশকাত হা/৫৪৬৪)।