উত্তর : ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ দু’টি শর্ত প্রদান করেছেন। ঈমান ও আমলে ছালেহ। অর্থাৎ নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক সৎকর্ম। এক্ষণে মুসলিম-অমুসলিম সকল দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য মৌলিক কর্তব্য হ’ল নবী-রাসূলগণের দেখানো পথে নিজেদের জীবনে বিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা এবং নিরন্তর দাওয়াত ও সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে আক্বীদা ও আমলের সংস্কার সাধনে চেষ্টিত হওয়া। এর মাধ্যমেই আল্লাহ চাইলে কাঙ্ক্ষিত খেলাফত কায়েম হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের প্রতি আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, তাদেরকে তিনি অবশ্যই পৃথিবীতে খেলাফত দান করবেন। যেমন তিনি পূর্ববর্তীদেরকে দান করেছিলেন (নূর ২৪/৫৫-৫৬)। এক্ষেত্রে যেমন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি শিরকী মতবাদ অনুসরণের কোন সুযোগ নেই, তেমনি চরমপন্থার অনুসরণে মানুষ হত্যায় লিপ্ত হওয়ারও কোন সুযোগ নেই।জানা আবশ্যক যে, নিজের জীবনে বিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যাবতীয় বৈধ প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয দায়িত্ব। কিন্তু রাষ্ট্র কায়েম করাই ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন করাই হ’ল ইক্বামতে দ্বীন বা দ্বীনের বিজয়, এটি হ’ল চরমপন্থী খারেজীদের আক্বীদা। ইসলামের মৌলিক আক্বীদা-বিশ্বাসের সাথে এর দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। কেননা ইক্বামতে দ্বীন অর্থ ইক্বামতে হুকূমত নয়। বরং ইক্বামতে তাওহীদ। যা প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ নূহ (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত সকল নবীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন’ (শূরা ৪২/১৩; বিস্তারিত দ্রঃ ‘ইক্বামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি’ বই)।