উত্তর : কেবল অপসন্দের দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ঘৃণিত কাজ। বরং স্ত্রীর কোন কিছু অপসন্দ হ’লে মনে করতে হবে আল্লাহ হয়ত এর মধ্যে কল্যাণ রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে) তোমরা এমন বস্ত্তকে অপসন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহ প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন (নিসা ৪/১৯)। আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী বলেন, স্ত্রীর কোন ব্যবহার তোমাদের অপসন্দ হ’লেও তার সাথে সদাচরণ কর। কেননা তাকে বাদ দিলে অন্য স্ত্রী এর চাইতে অধিক মন্দ হ’তে পারে। অথবা এই স্ত্রীর গর্ভে সুসন্তান আসতে পারে। যার মধ্যে তোমাদের প্রভূত কল্যাণ রয়েছে (কুরতুবী)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুমিন যেন মুমিনাকে ঘৃণা না করে বা তার প্রতি শত্রুতা পোষণ না করে; যদি তার কোনো আচরণে সে অসন্তোষ প্রকাশ করে, তবে অন্য আর এক আচার-ব্যবহারে সন্তুষ্টি লাভ করবে’ (মুসলিম হা/১৪৬৯; মিশকাত হা/৩২৪০)। সেজন্য বিদ্বানগণ বিনা কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া মাকরূহ, এমনকি হারাম বলেছেন (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৮/২৩৫)। সুতরাং বিনা কারণে তালাক দেওয়া সমীচীন হবে না। তবে স্ত্রীর দ্বীনদারিতে কোন সমস্যা থাকলে স্ত্রী তালাক দেওয়া জায়েয (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/২৩৫)।
প্রশ্নকারী : শরীফ আলী, ওমান।