উত্তর : ঐ ব্যক্তি পুনরায় তওবা করবে (যুমার ৫৩, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৬)।
পুনরায় লিপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করবে এবং এ ব্যাপারে
আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
‘কোন বান্দা অপরাধ করল এবং বলল, হে আমার প্রতিপালক আমি অপরাধ করেছি, তুমি
তা ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ বলেন, (হে আমার ফিরিশতাগণ!) আমার বান্দা কি জানে
যে তার একজন প্রতিপালক আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা অপরাধের কারণে
শাস্তি দিবেন? (তোমরা সাক্ষী থাক) আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ
যতদিন চাইলেন ততদিন সে অপরাধ থেকে বিরত থাকল। অতঃপর পুনরায় একই অপরাধ করল
এবং ক্ষমা প্রার্থনা করল। তখন আল্লাহ একই কথা বলে তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
অতঃপর কিছুদিন পর পুনরায় একইভাবে সে অপরাধ করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ
বললেন, ‘সে যা ইচ্ছা করুক। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম’ (বুখারী হা/৭৫০৭, মুসলিম হা/২৭৫৮, মিশকাত হা/২৩৩৩)।
এ হাদীছ প্রমাণ করে ক্ষমা প্রার্থনার প্রধান বিষয়টি হ’ল ‘আল্লাহভীতি’।
কেবল আল্লাহর ভয়ে যদি বান্দা অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহ’লে
করুণাময় আল্লাহ ক্ষমা তাকে করতে পারেন।