উত্তর :
সিজদার আয়াত যখনই পাঠ করবে বা শ্রবণ করবে তখনই সিজদা দেওয়া সুন্নাত। ইবনু
ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং আমরা
তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম।
এতে এত ভিড় হ’ত যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সিজদা করার জন্য কপাল রাখার
জায়গা পেত না (বুখারী হা/১০৭৬; মিশকাত হা/১০২৫)। একস্থানে
দীর্ঘক্ষণ থাকলে এ সিজদা সঙ্গে সঙ্গে না করে কিছু পরেও করা যায়। স্থান
পরিবর্তন হ’লে আর সিজদা করতে হয় না, ক্বাযাও আদায় করতে হয় না। এই সিজদা
করলে নেকী আছে, না করলে গোনাহ নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২২৪ পৃ.)। সিজদায়ে তেলাওয়াতের নিয়ম হ’ল- প্রথমে তাকবীর দিয়ে সিজদায় যাবে। অতঃপর দো‘আ পড়বে এবং পুনরায় তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৯৩০; বায়হাক্বী ২/৩২৫, সনদ ছহীহ; তামামুল মিন্নাহ ২৬৯ পৃ.)। সিজদা মাত্র একটি হবে। এতে তাশাহহুদ নেই, সালামও নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৬৪)।
এক্ষণে তেলাওয়াতে সিজদার সময় সুবহানা রাবিবয়াল আ‘লা পাঠ করবে বা নিমেণর
দো‘আ পাঠ করবে- সাজাদা ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া শাক্ক্বা সাম‘আহু
ওয়া বাছারাহু বিহাওলিহী ওয়া কুওয়াতিহী; ফাতাবা-রাকাল্লাহ-হু আহসানুল
খা-লেক্বীন। অর্থ : ‘আমার চেহারা সিজদা করছে সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি
একে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় ক্ষমতা ও শক্তি বলে এতে কর্ণ ও চক্ষু সন্নিবেশ
করেছেন। অতএব মহা পবিত্র আল্লাহ যিনি সুন্দরতম সৃষ্টিকর্তা’ (আবূদাঊদ হা/১৪১৪; মিশকাত হা/১০৩৫)।