উত্তর : তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করার বিশেষ কোন ফযীলত নেই এবং খতম তারাবীহ বলে কোন নিয়ম শরী‘আতে নেই। রাসূল (ছাঃ) তারাবীহর ছালাত ২৩, ২৫, ২৭ তিনদিন জামা‘আতের সাথে আদায় করেছেন। তার প্রথমদিন রাতের এক তৃতীয়াংশ, দ্বিতীয় দিন অর্ধাংশ ও তৃতীয় দিন সাহারীর আগ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিয়ী, মিশকাত হা/১২৯৮ ‘ক্বিয়ামে রামাযান’ অনুচ্ছেদ)। তাবেঈ বিদ্বান আ‘রাজ (রহঃ) বলেন, আমরা লোকদেরকে (ছাহাবীগণকে) রামাযান মাসে এরূপই দেখেছি, তারা কাফেরদের লা‘নত করতেন। সেসময় ইমাম আট রাক‘আতে পূর্ণ সূরা বাক্বারাহ (আড়াই পারা) পড়তেন। যখন ইমাম বার রাকা‘আতে তা পড়তেন তখন লোকেরা মনে করত যে, তিনি ছালাতকে অনেক সংক্ষেপ করলেন (মুওয়াত্ত্বা, সনদ ছহীহ মিশকাত হা/১৩০৩ ‘ক্বিয়ামে রামাযান’ অনুচ্ছেদ)।
উল্লেখ্য যে, ক্বিরাআত দীর্ঘ হৌক বা সংক্ষিপ্ত হৌক ছালাতে খুশূ-খুযূই হ’ল প্রধান বিষয়। আজকাল খতম তারাবীহতে ছালাত সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে হাফেযগণ ক্বিরাআত এমন দ্রুত পড়েন, যা কুরআনের অবমাননার শামিল। মুছল্লীরা যা বুঝতে সক্ষম হন না। অথচ আল্লাহ বলেছেন, যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোন ও চুপ থাক’ (আ‘রাফ ৭/২০৪)। অনেকে খতম তারাবীহর ভয়ে তারাবীহর জামা‘আতেই আসেন না।
অতএব মুছল্লীদের আগ্রহ বুঝে হাফেয ছাহেবগণ তারাবীহর ক্বিরাআত দীর্ঘ অথবা সংক্ষিপ্ত করবেন। কোন অবস্থাতেই খতম তারাবীহ’তে বাধ্য করা বা একে অধিক ছওয়াবের কাজ মনে করা যাবে না। কারণ এটি সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এর কোন প্রচলন ছিল না।