
উত্তর : দৈনন্দিন আমল হিসাবে উক্ত সূরাগুলো পাঠের পূর্বেও বিসমিল্লাহ পাঠ করা মুস্তাহাব। কারণ আনাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) মুচকি হাসি দিলে এর কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, এই মাত্র আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি ‘বিসমিল্লাহ’সহ সূরা কাউছার পাঠ করলেন (মুসলিম হা/৪০০)। আনাস (রাঃ)-কে নবী করীম (ছাঃ)-এর কিরাআত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বললেন, কোন কোন ক্ষেত্রে নবী করীম (ছাঃ) দীর্ঘ করতেন। এরপর তিনি ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ তিলাওয়াত করে শোনালেন এবং তিনি বললেন, নবী করীম (ছাঃ) ‘বিসমিল্লাহ, আর-রহমান, আর-রহীম, পড়ার সময় দীর্ঘায়িত করতেন (বুখারী হা/৫০৪৬)। অর্থাৎ প্রত্যেক সূরা তেলাওয়াতের পূর্বে তিনি বিসমিল্লাহ পড়তেন।
প্রশ্নকারী : অধ্যাপক আব্দুল হামীদ, জাহানাবাদ, রাজশাহী।