উত্তর : পারস্পরিক বিবাদকে কেন্দ্র করে পৃথক মসজিদ নির্মাণ এবং সমাজে বিচ্ছিন্নতা ও অনৈক্য সৃষ্টি করা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ (তওবা ৯/১০৭)।
অতএব বিবাদ মীমাংসা করে পূর্বাবস্থায় ফিরে এসে বড় জামা‘আত করার সাধ্যমত
চেষ্টা করতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সমবেতভাবে
ধারণ কর এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ো না’ (আলে ইমরান ৩/১০৩)। তাছাড়া জামা‘আতে লোকসংখ্যা যত বেশী হবে তার ছওয়াব ও ফযীলত তত বেশী হবে (আবুদাঊদ হা/৫৫৪; নাসাঈ হা/৮৪৩; মিশকাত হা/১০৬৬)।
জানা আবশ্যক যে, বনু ‘আমর বিন ‘আওফ গোত্রে মসজিদে ক্বোবা নির্মিত হ’লে তার
প্রতি হিংসাবশে তার ভাই বনু গুনুম বিন ‘আওফ গোত্রের লোকেরা যে মসজিদ
নির্মাণ করে, তা ইতিহাসে মসজিদে যেরার নামে খ্যাত। যা আল্লাহর হুকুমে রাসূল
(ছাঃ) পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেন (কুরতুবী হা/৩৪৮৫; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ), ৩য় মুদ্রণ ৫৮৩-৮৪ পৃ.)। যার ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষিতে উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করলে কারাহিয়াতের সাথে জায়েয হবে (মুছত্বফা দিমাশক্বী, মাতালিবু উলিন নুহা ১/৩৭২)।