পার্থিব জীবনে বান্দা কখনো কখনো বিভিন্ন প্রকার কষ্টে ভোগে। আবার কখনো কখনো অন্তরে খুব ব্যথা অনুভব করে যা তার ঘুম কেড়ে নেয়, তাকে কষ্ট দেয় এবং তার জন্য অসহ্য দুঃখ বয়ে আনে। সুতরাং অন্তরে প্রাপ্ত এ ব্যথা যদি অতীতের কোন বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয় তবে তাকে ‘হুয
ইরাক, ইরান ও অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর মত ইয়েমেনও মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যার জন্ম হয়েছিল ২০০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দে। বর্তমানে এর রাষ্ট্রীয় নাম হচ্ছে ‘প্রজাতন্ত্রী ইয়েমেন’। এটি আরব সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূতাত্ত্বিক বিব
ফিলিস্তীন প্রসঙ্গ বাদ দিলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীলই ছিল গত কয়েক দশক। এ কথা অনস্বীকার্য যে, রাজতন্ত্র আর যাইহোক স্থিতিশীল রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ চমকের মত দপ করে সারা মধ্যপ্রাচ্যে গণআন্দোলনের
জন্মের মাধ্যমে জীবনের শুরু আর মৃত্যুর মাধ্যমে ইহজীবনের পরিসমাপ্তি এবং পরকালীন জীবনের যাত্রা আরম্ভ হয়। কবর বা বারযাখী জীবনের পরে মানুষ ক্বিয়ামতে পার্থিব জীবনের কর্মের হিসাব দিয়ে অনন্ত জীবনে সুখ-শান্তি কিংবা আযাব-শাস্তি লাভ করবে। আর সেই অনন্ত জীবনের প্
যুবকরা যেকোন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বয়স্ক লোকদের নিকট যে কাজটা কঠিন, সে কাজটা যুবকদের নিকট সহজ। যুবকদের মূল্যবান সময়টা বিভিন্ন খারাপ কাজে অতিবাহিত না করে, কল্যাণকর কাজে অতিবাহিত করতে হবে। যাতে করে ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে জওয়াব দেওয়া সহজ হয়। ক
মহান আল্লাহর পক্ষ হ’তে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মতের উপর পবিত্র মাহে রামাযান রহমতের ডালি নিয়ে আগমন করে বারে বারে। রামাযান উপলক্ষে সকল মুসলমান পাপ হ’তে ফিরে আসে পুণ্যময় জীবনের পথে। সকলে ছিয়াম পালনের মাধ্যমে জীবনের সকল গুনাহ হ’তে মুক্ত হয়ে মহান আল্
রোগ-ব্যাধি আল্লাহ তা‘আলা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোন কোন রোগ মানুষের পাপের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব হিসাবে আসে। ‘এইডস’ তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘এইডস’ হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি। পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে এটি এক নম্বর ঘাতক ব্যাধি। সাহারা মরুভ
ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ) চরমপন্থীদের হাতে ছালাতরত অবস্থায় ছুরিকাহত হন। অতঃপর তিনি পরবর্তী খলীফা মনোনয়নের জন্য ৭ সদস্যের পরিষদ গঠন করে দিয়ে যান। ঐ পরিষদ ওছমান (রাঃ)-কে খলীফা মনোনীত করেন। এরপর ওছমান (রাঃ) খিলাফতের বায়‘আত গ্রহণ করেন। এ সম
ভূমিকা : ইহকালীন জীবনের সৎ আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ লাভ করা এবং পরকালীন জীবনে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান লক্ষ্য। আর জান্নাত লাভ করতে হ’লে রাসূল (ছাঃ)-এর পদ্ধতি অনুযায়ী শিরক ও বিদ‘আত মুক্ত আমল করা যরূর
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ নোবেল বিজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮-২০১৩ ইং) গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নিজ বাড়িতে মৃত
ভূমিকা : দুনিয়াতে আল্লাহ প্রদত্ত অফুরন্ত নে‘মতরাজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যৌবনের শক্তিমত্তা। মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারার তিনটি স্তর শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য। এর মধ্যে যৌবনকাল শ্রেষ্ঠ। অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার যুবসমাজই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। তারা দেশ
প্রতিকার :যুবসমাজই আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার। তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় হ’লে দেশ ও জাতি নিমজ্জিত হবে অধঃপতনের অতল তলে। তাই তাদের অধঃপতন প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে প্রয়োজন যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে কতিপয় প্রস্তাবনা পেশ কর
ভূমিকা : হালাল জীবিকা উপার্জন করা ইসলামে অত্যাবশ্যকীয়। হালাল জীবিকা আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উপায়। পক্ষান্তরে হারাম উপার্জনে মানবজাতির ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রশান্তি দূরীভূত হয়। ফলে কারূণী অর্থনীতির ধনকুবেররা টাকার বিছানা-বালিশে শয়ন করেও অশা
ভূমিকা : আল্লাহ মানব জাতিকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তিনি বলেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ ‘আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)।তিনি মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীন
উৎসব মানুষের প্রাণের চাহিদা। আনন্দের খোরাক। ক্লেশ-ক্লান্তি ভুলার উপায়। আমেজে ডুব দিয়ে মনকে সজীব করার মাধ্যম। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম মানুষের জন্য সার্বজনীন উৎসবের ব্যবস্থা করেছে দুই ঈদ প্রবর্তনের মাধ্যমে। এ তো শুধু উৎসব নয়; বরং দুই ঈদকে যারা
ইসলাম আত্মার কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ না করতে উৎসাহিত করেছে। নাফসকে ইলাহী ফরমানের দিকে নিবিষ্ট করার লক্ষ্যে নাফসের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে বলা হয় ‘জিহাদুন নাফস’ বা অন্তরের সংগ্রাম। মূলতঃ এ জিহাদই হ’ল সর্বোত্তম জিহাদ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, اَفْضَلُ
উপক্রমণিকা : অন্যান্য মহৎ গুণের পাশাপাশি একজন মুসলিমকে যে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হ’ল মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। সুধারণা সমাজে কল্যাণ বয়ে আনে, ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখে। সুচিন্তা-সুধারণা আমাদেরকে বিবেকবান উন্নত মানুষে পরিণত করে। প্রত
ভূমিকা :দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়াবী জীবনের নির্ধারিত সময় তথা হায়াত শেষ হ’লে মৃত্যুর মাধ্যমে পরকালে পাড়ি জমাতে হবে। পার্থিব জীবনের স্বল্প সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইবনু ওমর (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, كُنْ فِى الدُّنْيَا كَاَنَّ
তাবলীগী ইজতেমার আখেরাতমুখী ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ ঈমানী পরিবেশে পরকালীন পাথেয় হাছিল এবং বিপুল নেকী অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। অথচ অনেকেই তা অবহেলায়, অলসতায় হারিয়ে ফেলে। আলোচ্য নিবন্ধে কতিপয় আমলের কথা উল্লেখ করা হ’ল, যার মাধ্যমে তাবলীগী
যে সকল কথা ও কাজের জন্য আকাশের দরজা খোলা হয় না :সকল উত্তম কথা ও কাজ আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় অর্থাৎ কবুল করা হয়। কিন্তু এমন কতিপয় কথা ও কাজ আছে, যার জন্য আকাশের দরজা খোলা হয় না; বরং বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাসূল (ছাঃ) এমন কাজ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে
যেসব আমল সম্পাদনকালে আকাশের দরজাগুলো খোলা হয় :কিছু কিছুু আমল রয়েছে, যা সম্পাদনের সময় আল্লাহ আকাশের দরজাগুলো খুলে দেন। সৎকর্মশীল বান্দার আমলের নেকী গ্রহণের জন্যই মূলতঃ আসমানী দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ জাতীয় কিছু আমলের বর্ণনা দেওয়া নিম্নে
আকাশমন্ডলী মহান আল্লাহর অনবদ্য সৃষ্টিসমূহের এক অনন্য নিদর্শন। তিনি দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের ভাসমান মেঘমালা থেকে ঊষর যমীনে সঞ্জীবনী বৃষ্টি বর্ষণ করেন। পূর্ব গগণে উদিত সূর্যের সোনালী রোদের পরশে মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং সৃষ্টিকুলের আহারের
ভূমিকা : বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে অশ্লীলতার সয়লাব চলছে। এর প্রভাবে সমাজ কলুষিত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে যুবচরিত্র। দাম্পত্য জীবনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ। তাই অশ্লীলতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যরূ
মানুষের মুখের কথা একটি গুরুত্বপূর্ণ নে‘মত। সঠিকভাবে এ নে‘মতের ব্যবহার করা যরূরী। অন্যথা এটা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। কেননা মানুষের মুখে উচ্চারিত প্রতিটি কথা মহান আল্লাহর দরবারে সংরক্ষিত হয়। আল্লাহ বলেন, مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَ
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত বা সৃষ্টির সেরা করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি মানব জাতিকে একে অপরের কল্যাণ সাধনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্