উত্তর :
আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জানার জন্য যে তিন প্রকার তাওহীদ সম্পর্কে জানা
আবশ্যক তার মধ্যে তাওহীদে আসমা ওয়াছ ছিফাত অন্যতম। এর অর্থ আল্লাহর নামসমূহ
ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। যার মাধ্যমে মানুষ বিবিধ কল্যাণ লাভ
করতে পারে। যেমন- ১-মানুষ যখন আল্লাহ্কে ‘রাযযাক’ বা একমাত্র রিযিকদাতা বলে
বিশ্বাস করে, তখন সে রুযী নিয়ে চিন্তিত হয় না। ২- মানুষ যখন জানবে যে,
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। তখন মানুষ শিরকমুক্তভাবে ইবাদত
করবে। ৩- মানুষ যখন জানবে যে, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। তখন
স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর প্রতি তার ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। ৪- মানুষ যখন জানবে
যে, আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা, তখন সে কোন অন্যায় কাজ করতে ভয়
পাবে। ৫- মানুষ যখন জানবে যে, আল্লাহ হায়াত ও মঊতের মালিক, তিনি সন্তানদাতা
এবং রোগ ও আরোগ্যদাতা, তখন সে এসব নিয়ে কোনরূপ দুশ্চিন্তায় ভুগবে না।
এভাবে মানুষ যখন আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে জানবে তখন সে বুঝতে পারবে
যে, তার জন্য এসব কিছু শোভা পায় না। মনে রাখা অবশ্যক যে, অধিকাংশ বাতিল
ফেরকারই জন্ম হয়েছে এই তাওহীদ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে। একই বিভ্রান্তির
শিকার হয়ে অনেক তাফসীরবিদ তাদের তাফসীর গ্রন্থসমূহে আল্লাহর সত্তা ও
গুণাবলী সম্পর্কে অবমাননাকর ও ঈমানবিধ্বংসী আকীদাসমূহ প্রচার করেছেন।