উত্তর : অত্র আয়াতে সূরা ফাতিহাকেই মহান কুরআন বলা হয়েছে (ইবনু কাছীর, কুরতূবী উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। এর মাধ্যমে সূরা ফাতিহার উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। কারণ আস-সাবউল মাছানী সূরা ফাতিহার একটি নাম (তিরমিযী হা/৩১২৪; আবুদাঊদ হা/১৩১)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সূরা ফাতিহা হল সাতটি বারবার পঠিতব্য সূরা এবং মহান কুরআন’ (বুখারী হা/৪৭০৪)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘আল-হামদু’ হ’ল সাতটি বারবার পঠিতব্য সূরা এবং মহান কুরআন যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে’ (বুখারী হা/৪৭০৩)। কারণ এর মধ্যে ইসলামের মূলনীতি সমূহ শামিল রয়েছে (কুরতুবী)। ক্বাতাদাহ বলেন, একে বারবার পঠিতব্য সূরা এজন্য বলা হয়েছে যে, ‘ফরয হৌক নফল হৌক এটি প্রতি রাক‘আতে পাঠ করা হয় (ইবনু কাছীর)। একারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তির ছালাত সিদ্ধ নয়, যে ব্যক্তি ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২)।