উত্তর :
পুরুষদের মাথার চুল খাটো এবং নারীদের মাথার চুল লম্বা, এটাই হ’ল মানুষের
স্বভাবগত বিধান। এর বিপরীতে বর্তমান যুগে যুবকদের মধ্যে হিপ্পীদের ন্যায়
নানা কাটিংয়ের চুল দেখা যায়। একইভাবে নারীদের মধ্যেও বব কাটিং তথা চুল খাটো
করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ইসলামে স্বীকৃত নয়।
চুলের সুন্নাতী নিয়ম হ’ল চুল খাটো করা অথবা বাবরী রাখা। সে হিসাবে চুল লম্বা করা যায় এবং বেনী করাও যায়। তবে এতে কোন ছওয়াব পাওয়া যাবে মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়নি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তির চুল আছে, সে যেন তার যত্ন করে রাখে’ (আবুদাউদ হা/৪১৬৩; মিশকাত হা/৪৪৫০; ছহীহাহ হা/৫০০)।
বড় চুল তিন পদ্ধতিতে রাখা যায়। যথা (১) ওয়াফরা, যা কানের লতি পর্যন্ত (আবুদাঊদ হা/৪২০৬) (২) লিম্মা, যা ঘাড়ের মধ্যস্থল পর্যন্ত (মুসলিম হা/২৩৩৭) (৩) জুম্মা, যা ঘাড়ের নীচ পর্যন্ত (নাসাঈ হা/৫০৬৬)।
ছাহাবী ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) একদিন লম্বা চুল নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) মাছি বসবে, মাছি বসবে বলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। ফলে তিনি ফিরে গিয়ে পরে চুল কেটে খাট করে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটি সুন্দর (هَذَا أَحْسَنُ) (আবুদাঊদ হা/৪১৯০; ইবনু মাজাহ হা/৩৬৩৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ‘চুল ছাঁটা ও মুন্ডনের হুকুম’ অনুচ্ছেদ ১/৭৩-৭৪ পৃ.)।
অতএব চুল সুন্দরভাবে রাখতে হবে এবং নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বেহায়াপনা করা যাবে না এবং অন্যদের অনুসরণ করা যাবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যারা অন্যদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, তারা তাদের মধ্যেই গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)।