
উত্তর : যেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া জঘন্য কবীরা গুনাহের একটি, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ (ইসরা ১৭/৩২)। হাদীছে এসেছে, যেনাকারদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় একটি পেটমোটা সরু মুখ বিশিষ্ট চুলায় জ্বলন্ত আগুনের মাঝে পোড়ানো হবে (বুখারী হা/১৩৮৬; মিশকাত হা/৪৬২১)। এক্ষণে গুনাহ থেকে ফিরে এসে খালেছভাবে তওবা করাই কর্তব্য এবং এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে এক্ষেত্রে বিবাহই কল্যাণকর হ’ত। যেমন অবিবাহিত যেনাকারীদের বিবাহের ব্যাপারে ইবনু ওমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, তারা তওবা করে সংশোধন হ’লে বিবাহ দেওয়া যায়। আলী, ইবনু আববাস, ইবনু ওমর, জাবের (রাঃ), সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ (রহঃ) প্রমুখ বলেন, যেনাকার পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিবাহ জায়েয। তাদের দলীল হ’ল, আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী, যা তিনি মাহরাম মহিলাদের নাম উল্লেখ করার পর বলেন, ‘এ ব্যতীত যেকোন নারী তোমাদের জন্য হালাল’ (নিসা ২৩; নায়লুল আওত্বার ৬/১৪৫ পৃ. ‘যেনাকার যেনাকারিণীর বিবাহ’ অনুচ্ছেদ)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, নওগাঁ।