উত্তর : আল্লাহ বলেন, আমরা অবশ্যই প্রত্যেক জনপদে রাসূল পাঠিয়েছি এই দাওয়াত দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগুত থেকে বিরত হও (নাহল ৩৬)। তিনি বলেন, অতঃপর তাদের পরবর্তী বংশধররা আসে, যারা ছালাত বিনষ্ট করে এবং প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে যায়। ফলে তারা দ্রুত পথভ্রষ্ট হয় (মারিয়াম ৪৯)।
উপরোক্ত আলোচনায় বুঝা যায় যে, যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জনপদে নবী পাঠিয়েছেন। কিন্তু মানুষ তাঁদের অবাধ্যতা করেছে। ফলে মূল ইলাহী ধর্ম বিকৃত হয়ে মানুষের মনগড়া ধর্মই এখন অবশিষ্ট রয়েছে। যা হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-খৃষ্টান ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়েছে। ‘ইসলাম’ আসার পরে বিগত সকল ইলাহী ধর্ম বাতিল হয়ে গেছে। ‘ইসলাম’-ই এখন ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ১৯)। অন্যান্য ধর্মে যেসব কল্যাণময় উপদেশ পাওয়া যায়, তা বিগত ইলাহী ধর্মসমূহ থেকে গৃহীত হওয়াটা বিচিত্র নয়। কুরআনে আহলে কিতাব হিসাবে ইহুদী ও নাছারাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। তারা হযরত মূসা ও ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী ছিলেন। তাদের নিকটে আল্লাহর কিতাব তাওরাত ও ইঞ্জীল এসেছিল। কিন্তু তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বিকৃত করে ফেলে (বাক্বারাহ ৭৯, নিসা ৪৬ প্রভৃতি)। ফলে তারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়ে যায় (ফাতিহা ৭)। উক্ত কিতাবদ্বয়ের অস্তিত্ব দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হিন্দুদের সম্পর্কে কুরআনে কিছু বলা হয়নি। তবে তাদের ধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে (আন‘আম ৭৪ প্রভৃতি)।