
উত্তর : তাবীয ব্যবহার করা সর্বাবস্থায় শিরক (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; মিশকাত হা/৪৫৫৬)। আর আল্লাহ তা‘আলা শিরকের গুনাহ মাফ করেন না (নিসা ৪/৪৮)। অতএব তাবীয ফেলে দিয়ে আল্লাহর প্রতি ভরসা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সাথে সাথে সন্তান লাভের জন্য যাকারিয়া (আঃ) কর্তৃক পঠিত দো‘আ নিয়মিতভাবে পাঠ করতে হবে। (১) রবিব লা তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খায়রুল ওয়ারিছীন (হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে (সন্তানহীনভাবে) একাকী ছেড়ে দিয়ো না। আর তুমিই তো সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী- আম্বিয়া ২১/৮৯) (২) রবিব হাবলী মিল্লাদুনকা যুররিইয়াতান ত্বাইয়েবা (হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে তোমার পক্ষ হ’তে একটি পূত-চরিত্র সন্তান দান কর- আলে ইমরান ৩/৩৮)। সন্তান হারানোর পর আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট থাকলে প্রভূত নেকীর হকদার হবেন। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যখন কোন বান্দার সন্তান মারা যায় আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় ফেরেশতাদের বলেন, তোমরা কি আমার বান্দার সন্তানকে উঠিয়ে নিলে? তারা উত্তর করবে, হ্যাঁ প্রভু। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি তার অন্তরের ধনকে কেড়ে নিলে? তারা বলবেন, হ্যঁা প্রভু। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, এতে আমার বান্দা কি বলল? তারা বললেন, তখন সে আপনার প্রশংসা করল এবং ইন্নালিল্লাহ বলল। তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম দাও ‘বায়তুল হাম্দ’ (তিরমিযী হা/১০২১, মিশকাত হা/১৭৩৬, ছহীহাহ হা/১৪০৮)।