উত্তর : ‘মুহাম্মাদ আবুল কাসেম’ একত্রে রাখা যাবে না (তিরমিযী হা/২৮৪১, মিশকাত হা/৪৭৬৯)। উক্ত নাম রাখা যাবে বিষয়ে হযরত আলী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছটি ছিল তাঁর জন্য ‘খাছ’ (তিরমিযী হা/২৮৪৩)।
শুধু ‘মুহাম্মাদ’ রাখা যাবে। কিন্তু শুধু ‘আবুল কাসেম’ রাখা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখো। কিন্তু আমার উপনামে নাম
রেখো না’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৭৫০)। উক্ত হাদীছটি
জানার পর উমাইয়া খলীফা মারওয়ান ইবনুল হাকাম (৬৪-৬৫ হিঃ) তাঁর পুত্রের
‘কাসেম’ নাম পরিবর্তন করে ‘আব্দুল মালেক’ রাখেন। যিনি তাঁর পরে বিখ্যাত
খলীফা হন (নববী, শরহ মুসলিম হা/২১৩১-এর আলোচনা দ্রঃ, ‘শিষ্টাচারসমূহ’ অধ্যায়)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, কারো উপনাম আবুল কাসেম রাখা বৈধ নয়, তার নাম ‘মুহাম্মাদ’ হৌক বা অন্য কিছু হৌক’ (বায়হাক্বী হা/১৯১১০)।
শায়খ আলবানী বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন, উক্ত উপনাম না রাখার ব্যাপারে
স্পষ্ট এবং ছহীহ হাদীছ সমূহের আলোকে আমি এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ যে, সঠিক কথা
হ’ল ‘আবুল কাসেম’ উপনামটি না রাখা (المنع مطلقاً)। তার নাম ‘মুহাম্মাদ’
হৌক বা না হৌক (ছহীহাহ হা/২৯৪৬-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
[সংশোধনী : আত-তাহরীক ১২ বর্ষ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০/৪৫০ নং প্রশ্নোত্তরে ‘শুধু আবুল কাসেম রাখা যাবে’ বলা হয়েছিল। এক্ষণে উক্ত নাম রাখা হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য হবে]