উত্তর : ধৈর্য ধারণ করতে হবে, দো‘আ করা অব্যাহত রাখবে এবং দো‘আ কবূল না হওয়ার কারণগুলো বর্জন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দো‘আ করলে তার দো‘আ কবুল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের জমা রাখা হয় অথবা তার দো‘আর সমপরিমাণ গুনাহ মাফ করা হয়, যতক্ষণ না সে পাপ কাজের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দো‘আ করে অথবা দো‘আ কবুলের জন্য তড়িঘড়ি করে। ছাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তাড়াতাড়ি করে কিভাবে? তিনি বলেন, সে বলে, আমি আমার আল্লাহর নিকটে দো‘আ করেছিলাম, কিন্তু আমার দো‘আ তিনি কবুল করেননি (তিরমিযী হা/৩৬০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭১৪)। দো‘আ কবুলের জন্য নিম্নের আমলগুলো করা কর্তব্য। ১. দো‘আয় ইখলাছ বা একনিষ্ঠতা প্রয়োজন (আ‘রাফ ৭/২৯)। ২. অধিকহারে ইস্তিগফার পাঠ করা (নূহ ৭১/১০-১২)। ৩. বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করা (আ‘রাফ ৭/৫৫)। ৪. দো‘আর শব্দগুলো একাধিকবার উল্লেখ করা (আবুদাউদ হা/১৫২৪)। ৫. স্বচ্ছল ও ভালো থাকা অবস্থায় দো‘আ করা (আহমাদ হা/২৮০৪)। ৬. আল্লাহর গুণবাচক নাম ব্যবহার করে দো‘আ করা (আ‘রাফ ৭/১৮০)। ৭. ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য ব্যবহার করে দো‘আ করা (মুসলিম হা/৫২৩)। ৮. হালাল রিযিক গ্রহণ করা (মুসলিম হা/১০১৫)। এছাড়া শেষ রাতে দো‘আ করা, হাতে তুলে দো‘আ করা, দো‘আর সময় কিবলামুখী হওয়া, পবিত্র অবস্থায় দো‘আ করা, দো‘আর পূর্বে আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করা ইত্যাদি দো‘আ কবুলের অন্যতম আদব।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।