উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ। কিন্তু এর ব্যাখ্যা ভুল হয়েছে। আছারটির দু’টি অর্থ হ’তে পারে। ১. আয়েশা (রাঃ) উক্ত বিবাহে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত ও নিকটাত্মীয় হওয়ার কারণে বর্ণনাকারী ওলী হওয়ার বিষয়টি তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন। ঈসা বিন দীনার বলেন, মদীনায় এমন কোন প্রচলন ছিল না। কেননা ইমাম মালেক ও মদীনার ফকীহগণ নারী কর্তৃক বিবাহ সম্পাদনকে বৈধ মনে করতেন না। এরূপ বিবাহ হ’লে বাসরের পূর্বেই বা পরে হ’লেও ভেঙ্গে দেওয়া হ’ত। ২. আয়েশা (রাঃ) বিবাহের মোহর ও দিনক্ষণ ধার্য করে দিয়েছিলেন। অতঃপর বিবাহের সময় তার একজন নিকটাত্মীয়কে ওলী বানিয়ে বলেন, তোমরা বিবাহ সম্পন্ন কর। কারণ নারী কারো বিবাহে ওলী হ’তে পারে না। আর এ প্রথা ছাহাবীগণের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল যে, নারী নিজে বিবাহ করতে পারে না এবং অন্যের বিবাহ দিতে পারে না (আল-মুনতাক্বা শারহুল মুওয়াত্ত্বা ৪/২৪)। উক্ত আছারের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্দিল বার্র বলেন, বিবাহ দিয়ে দেওয়ার অর্থ হ’ল- বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া, মোহর নির্ধারণ করা এবং তাতে সম্মত হওয়া। এর অর্থ বিবাহে ওলী হওয়া নয়। এরপর তিনি নিম্নের আছারটি বর্ণনা করেন (আল-ইস্তিযকার ৬/৩২)।-

ইবনু জুরাইজ বলেন, আয়েশা (রাঃ) যখন তার গোত্রের কোন মেয়ের বিয়ে দিতে ইচ্ছা করতেন, তখন তাদের একদল লোককে ডেকে আলোচনা করতেন। যখন বিবাহ ঠিক হয়ে যেত তখন তাদের একজনকে বলতেন, হে অমুক! তার বিবাহ দিয়ে দাও। কারণ নারীরা কারো বিবাহ দিতে পারে না (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১০৪৯৯; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৫৯৫৯ ফাৎহুল বারী ৯/১৮৬-৯০, সনদ ছহীহ)






প্রশ্ন (৩০/৪৭০) : বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট তথা যা মানুষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, তা আল্লাহর কাছে চাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে কম যোগ্য প্রার্থীকে সুফারিশ করে চাকুরী দিলে এবং সে ঘুষ গ্রহণ করলে সুফারিশকারীর উপর দায়ভার বর্তাবে কি?
প্রশ্ন (২২/২২২) : নবী-রাসূলগণের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান কে?
প্রশ্ন (৩৪/৩৪) : মেয়েদের সৌন্দর্য যেন প্রকাশ না পায় সেকারণে পর্দা ফরয। এক্ষণে কোন মেয়ে যদি কুশ্রী বা কাউকে আকৃষ্ট করার মত না হয় তবে কি তার জন্য পর্দা করা আবশ্যক?
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : রাসূল (ছাঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় কতবার হজ্জ এবং ওমরাহ পালন করেছিলেন?
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : বনু ইস্রাঈলের এক আবেদ ব্যক্তিকে বলা হ’ল তুমি আল্লাহর রহমতে জান্নাতে যাবে। তখন সে বলল, আমি আমার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যেতে চাই। তাকে পুনরায় একই কথা বলা হ’লে সে আবারও বলল, আমার আমলের বিনিময়েই জান্নাতে যেতে চাই। তখন আল্লাহ ফেরেশতাগণকে বললেন, তোমরা আমার দেওয়া নে‘মত এক পাল্লায় এবং তার আমলসমূহ এক পাল্লায় রেখে পরিমাপ কর। তখন কেবল চক্ষুর নে‘মত এত ভারী হয়ে গেল যে, তা তার ৫০০ বছরের ইবাদতকে ছেয়ে ফেলল। তখন সে বুঝতে পারল এবং আল্লাহর রহমতেই জান্নাতে প্রবেশ করতে চাইল। হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : জনৈক ব্যক্তি হাফেযদেরকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কুরআন খতম করান এবং কবরের পাশে নিয়ে গিয়ে পিতা-মাতার জন্য দো‘আ করানো হয়। এছাড়াও মীলাদ মাহফিল ও চল্লিশা পালন করা হয়। এগুলো কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : ছালাতের মধ্যে আশেপাশে দৃষ্টি দেওয়ার ব্যাপারে শারঈ নির্দেশনা কি? প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে আশপাশে দৃষ্টি দিলে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জামা‘আতে ছালাতরত অবস্থায় মুক্তাদী স্বীয় ভুলের কারণে সহো সিজদা দিতে পারবে কি? - মুফাছছিল হুসাইন বড়লেখা, মৌলভীবাজার।
প্রশ্ন (২৬/২৬৬) : সমাজে প্রচলিত আছে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান। একথা কি সত্য? - -মতীউর রহমান, লালবাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : অধিকাংশ স্বর্ণ ব্যবসায়ী গহনা তৈরির সময় মূল স্বর্ণের সাথে অন্য ধাতু মিশ্রণ করে স্বর্ণের দামে বিক্রি করে। উক্ত ব্যবসা কি বৈধ?
প্রশ্ন (২১/৪২১) : আমি আমার প্রথম স্বামীর সাথে ২০ বছর সংসার করার পর আমাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। সেখানে আমার একটি সন্তানও আছে। পরবর্তীতে যার সাথে আমার বিবাহ হয়, সে ১ বছরের মাথায় আমাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৮-১০ বছর পার হয়েছে। এক্ষণে আমি প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলে আমার করণীয় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পাহাড়পুর, নওগাঁ।
আরও
আরও
.