উত্তর : ক্রোধ মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য ষড়রিপুর অন্যতম। যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অতীব যরূরী। মুত্তাক্বীদের পরিচয় বর্ণনায় আল্লাহ বলেন, ‘যারা সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা সর্বাবস্থায় (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় করে, ক্রোধ দমন করে ও মানুষকে ক্ষমা করে’ (আলে ইমরান ৩/১৩৪)। অন্যত্র তিনি মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় বলেন, ‘যখন তারা ক্রুদ্ধ হয় তখন ক্ষমা করে’ (শূরা ৪২/৩৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংযত থাকে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সৃষ্টিকুলের মধ্য থেকে ডেকে নিবেন এবং তাকে হূরদের মধ্য হ’তে তার পসন্দমত যে কোন একজনকে বেছে নিতে বলবেন’ (আবুদাঊদ হা/৪৭৭৭; ইবনু মাজাহ হা/৪১৮৬; মিশকাত হা/৫০৮৮)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট একজন লোক এসে কিছু শিক্ষাদানের আহবান জানালে তিনি বললেন, তুমি ক্রোধ প্রকাশ করো না, উত্তেজিত হয়ো না। লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলে প্রতিবারই তিনি বললেন, ক্রোধ প্রকাশ করো না, উত্তেজিত হয়ো না’ (বুখারী হা/৬১১৬; মিশকাত হা/৫১০৪)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এমন একটি আমলের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি বললেন, ‘তুমি রাগ প্রকাশ করবে না, তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে’ (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/২৩৫৩; ছহীহ আত-তারগীব হা/২৭৪৯)। তিনি আরেক হাদীছে বলেন, ‘কোন বান্দা আল্লাহর সন্তোষ লাভের আকাঙ্ক্ষায় ক্রোধের ঢোক গলধঃকরণ (সংবরণ) করলে, আল্লাহর নিকট ছওয়াবের দিক থেকে তার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ কোন ঢোক আর নেই’ (ইবনু মাজাহ হা/৪১৮৯; আহমাদ হা/৬১১৪; মিশকাত হা/৫১১৬)। ইবনু ওমর (রাঃ) রাসূলকে বলেন, কিসে আমাকে আল্লাহর ক্রোধ থেকে রক্ষা করবে? তিনি বললেন, তুমি ক্রোধ প্রকাশ করবে না (ছহীহ ইবনু হিববান হা/২৯৬; ছহীহ আত-তারগীব হা/২৭৪৭)। এছাড়াও ক্রোধকে সকল অনিষ্টের মূল বলা হয়েছে (আহমাদ হা/২৩২১৯; ছহীহ আত-তারগীব হা/২৭৪৬)। অত্র হাদীছগুলোর উপর আমল করলে সমাজে পরস্পরে ক্রোধ, হিংসা, মতভেদ ও ভাঙ্গন কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।






প্রশ্ন (৭/২৪৭) : মানবদেহের অবাঞ্ছিত লোম ৪০ দিনের অধিক সময় পরিষ্কার না করলে ইবাদত কবুল হবে কি এবং তা পরিষ্কার করার পর গোসল করা আবশ্যক কি?
প্রশ্ন (৩৭/৪৩৭) : মহিলারা নিজেদের মধ্যে তা‘লীম করতে পারে কী? - তারিক হাসান, পাবনা।
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : হালাল ও জায়েয এবং হারাম ও নাজায়েযের মধ্যে পার্থক্য কি? - -আলহাজ আব্দুর রহমান, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : আমি একটি সরকারী প্রজেক্টে কাজ করি। বাচ্চাদের নাশতা প্রদান করতে হয়। নির্ধারিত সংখ্যায় নাশতা তৈরি করতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে বাচ্চাদের অনুপস্থিতির কারণে নাশতা থেকে যায়। সেগুলি পরে আর দেয়া সম্ভব হয় না, তাই সেগুলো আমি বাড়িতে নিয়ে যাই, এটা কি আমার জন্য জায়েয হবে?
প্রশ্ন (৩০/৩১০) : শয়তানের কোন ছেলে মেয়ে আছে কি? তাদের কি বিয়ে হয় ও বংশ বৃদ্ধি হয় কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : কোন প্রসূতি যদি রামাযানের কতিপয় ছিয়াম ভঙ্গ করে এবং পরবর্তী রামাযান আসার পূর্বে ক্বাযা আদায় করতে না পারে; পরবর্তী বছর সন্তানকে দুধপানের কারণে যদি তার আরো কিছু ছিয়াম ভঙ্গ হয় এবং রামাযান আসার পূর্বে ক্বাযা আদায় করতে না পারে, তাহ’লে তার করণীয় কী?
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : দাফনের প্রাক্কালে নারী বা পুরুষ মাইয়েতের বুকের উপর নিজের হাত রেখে ইমাম ছাহেব ‘বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ বলবেন। এ বিধানের কোন সত্যতা আছে কি? - -আলী হোসাইন, সাহেব বাজার মাছপট্টি, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : মসজিদের মিহরাব বরাবর পূর্ব দিকে প্রবেশ দরজা থাকা কি আবশ্যক? - -শামসুল আলমকাকডাঙ্গা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : জনৈক আলেম বলেছেন যে, রাসূল (ছাঃ)-এর নূর দ্বারাই চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (১/১২১) : সূরা মায়েদার ১৫নং আয়াতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে নূর বলা হয়েছে কি? তিনি কি নূরের তৈরী ছিলেন? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৭/৪৭) : আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের পর সে কাযী ডেকে তালাকনামা লিখে আমার নিকট পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি তা গ্রহণ করেছি। আমাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এখন সে আমার সাথে সংসার করতে চায়। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? - -ওয়ালিউর রহমান, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : ঋতু অবস্থায় ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকতে হয়। কুরআন তেলাওয়াত থেকেও কি বিরত থাকতে হবে?
আরও
আরও
.