উত্তর : অন্যের হক নষ্ট
করে নিজে তা নেওয়ার জন্য ঘুষ দিলে সেটা হবে মহাপাপ। সেক্ষেত্রে ঘুষ দাতা
এবং ঘুষ গ্রহীতা উভয়েই কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও
ঘুষগ্রহীতার উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)।
পক্ষান্তরে মযলূম ব্যক্তি যুলুম প্রতিরোধের জন্য বাধ্যগত অবস্থায় এটা করলে, সেটা তার জন্য ‘মুবাহ’ হবে। কিন্তু ঘুষ গ্রহীতার জন্য তা হারাম হবে। এক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতাই পাপের বোঝা বহন করবে। ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন, যাকে তার হক থেকে বঞ্চিত করা হয়, তার জন্য যুলুম প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান করা ‘মুবাহ’। তবে এক্ষেত্রে গ্রহণকারী হবে মহাপাপী (মুহাল্লা ৮/১১৮ মাসআলা নং ১৬৩৮)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, গ্রহণকারীর জন্য এটি হারাম এবং দাতার জন্য যুলুম প্রতিরোধের স্বার্থে জায়েয’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/২৮৬)। তবে যতদূর সম্ভব এ ব্যতীত অন্য কোন বৈধ উপায় অবলম্বন করা তাক্বওয়াশীল মুমিনের জন্য কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)।
উল্লেখ্য যে, চাকুরীর লোভ দেখিয়ে প্রার্থীর নিকট থেকে প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘ডোনেশন’ আদায় করা ঘুষ আদায় করার শামিল। তাছাড়া বর্তমানে নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম হওয়া না হওয়া আর্থিক লেনদেন বা প্রভাবশালীদের চাপ সৃষ্টির উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। অতএব উভয় পক্ষকে সাধ্যমত তাক্বওয়া অবলম্বন করা আবশ্যক।