
উত্তর : একাধিক হাদীছ প্রমাণ বহন করে যে শেষ যামানায় কুরআনের বাণী তুলে নেওয়া হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইসলাম পুরাতন হয়ে যাবে, যেমন কাপড়ের কারুকার্য পুরাতন হয়ে যায়। এমনকি অবস্থা এমন হবে যে, জানবে না, ছিয়াম কি? ছালাত কি? কুরবানী কি, যাকাত কি?। এক রাতে পৃথিবী থেকে মহান আল্লাহর কিতাব বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং একটি আয়াতও অবশিষ্ট থাকবে না (ইবনু মাজাহ হা/৪০৪৯ সনদ ছহীহ)। তবে এটি ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঘটবে। যখন হাফেযের স্মৃতি থেকেও কুরআন তুলে নেওয়া হবে। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, কুরআনের উপর এমন একটি রাত অতিবাহিত হবে যে, হাফেযদের স্মৃতিতে ও মুছহাফের মধ্যে যা ছিল, তা হারিয়ে যাবে.. (হাকেম হা/৮৫৩৮, যাহাবী, সনদ ছহীহ)।
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, পোষাক যেমন জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যায়, তদ্রূপ অচিরেই লোকের অন্তরে কুরআনও জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যাবে। ফলে তার অবক্ষয়-অবনতি ঘটবে। তারা কুরআন পড়বে কিন্তু তাতে কোন স্বাদ অনুভব করবে না। যেন নেকড়ের অন্তরের উপর তারা ভেড়ার চামড়া পরিধান করবে (তাদের অন্তর নেকড়ের মত ধূর্ত হ’লেও উপরে তারা মেষের চামড়ার মত পশম-কোমল পোষাক পরবে)। তাদের আমলসমূহ অত্যন্ত লোভনীয় হবে, কিন্তু তাতে ভয় মিশ্রিত থাকবে না; তারা (আমলে) অবহেলা করলেও তারা বলবে, আমরা তো অচিরেই (জান্নাতে) পৌঁছে যাব। আর যখন তারা মন্দ কাজ করবে, তখন বলবে, আমাদেরকে তো ক্ষমা করাই হবে। কেননা, আমরা তো আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করিনি (দারেমী হা/৩৩৮৫, সনদ ছহীহ)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, শেষ যামানায় মানুষের হৃদয় থেকে কুরআন তুলে নেওয়া হবে। অনুরূপ মুছহাফ থেকে হরফগুলো তুলে নেওয়া হবে। ফলে কাগজ থাকবে কুরআন থাকবে না (মাজমূঊল ফাতাওয়া ৩/১৯৮)।
প্রশ্নকারী : ফিরোয আলম, খড়খড়ি বাজার, রাজশাহী।