
উত্তর : অন্যকে রক্তদান করা প্রভূত নেকীর কাজ। বিশেষত কারো জীবন বাঁচানোর স্বার্থে রক্তদান করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ইহসান কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইহসানকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনে নেকী রয়েছে’ (বুখারী হা/২৩৬৩; মুসলিম হা/২২৪৪; মিশকাত হা/১৯০২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। যে ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তা‘আলা তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার ভাইয়ের কোন কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তা‘আলাও ক্বিয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করবেন’ (বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম হা/২৫৮০; মিশকাত হা/৪৯৫৮)। তিনি বলেন, (নেকীর উদ্দেশ্যে কৃত) প্রত্যেক সৎকর্মই ছাদাক্বা (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/১৮৯৩)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের জন্য সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের জন্য উপকারী’ (ছহীহাহ হা/৯০৬)। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে রক্তদান ওয়াজিব হয়ে দাঁড়ায়, যদি রোগী মুমূর্ষু হয় এবং অন্য কোন দাতা না পাওয়া যায় (ফৎওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/৭০)।
প্রশ্নকারী : মুঈনুল ইসলাম, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।