উত্তর : বিশুদ্ধ আক্বীদা হ’ল, সৎকর্মে ঈমান বৃদ্ধি পায় ও পাপ কর্মে তা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন কেবল তারাই, যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর সমূহ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে’ (আনফাল ৮/২)। একই মর্মে বর্ণিত হয়েছে, আলে ইমরান ১৭৩, তওবা ১২৪ প্রভৃতি আয়াতে।
হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, এই আয়াত ও তার সমার্থক অন্যান্য আয়াত দ্বারা ইমাম বুখারী ও অন্যান্য বিদ্বানগণ ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধির দলীল নিয়েছেন। এটি হ’ল জমহূর উম্মাহর মাযহাব। শাফেঈ, আহমাদ ও আবু উবায়েদ প্রমুখ বিদ্বানগণ এ বিষয়ে ইজমার দাবী করেছেন (ইবনু কাছীর, তাফসীর আনফাল ২ আয়াত)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঈমানের সত্তর-এর অধিক শাখা রয়েছে। যার মধ্যে সর্বোত্তম হ’ল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। আর সর্বনিম্ন হ’ল রাস্তা থেকে কষ্ট দূর করা। আর লজ্জাশীলতা ঈমানের অন্যতম শাখা’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৫)।
তিনি বলেন, ...যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজের হাত দ্বারা জিহাদ করবে, সে মুমিন। যে ব্যক্তি যবান দ্বারা জিহাদ করবে, সেও মুমিন এবং যে ব্যক্তি অন্তর দ্বারা (ঘৃণার মাধ্যমে) জিহাদ করবে, সেও মুমিন। এরপর এক সরিষাদানা পরিমাণও ঈমান নেই’ (মুসলিম হা/৫০, মিশকাত হা/১৫৭)। উপরোক্ত হাদীছ সমূহ প্রমাণ করে যে, ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধি রয়েছে।
তবে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতে, ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধি হয় না। অবশ্য ইবনু আব্দিল বার্র মালেকী ও ইবনু আবিল ‘ইয হানাফীর মতে, তিনি পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছিলেন (আত-তামহীদ ৯/২৪৭; শরহ আক্বীদা তাহাবিইয়াহ ৩৯৫ পৃঃ)।