উত্তর : ‘মুসলিম’ বলা যাবে, তবে প্রকৃত মুসলিম নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিধানসমূহ কামনা করে? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর চাইতে সুন্দর বিধানদাতা আর কে আছে’? (মায়েদাহ ৫/৫০)। অতএব ইসলামের বাইরে উপরোক্ত মতবাদসমূহ সবই জাহেলিয়াত।

এসবের অনুসারীদের মধ্যে কেউ বিশ্বাসগত কুফরীতে এবং কেউ কর্মগত কুফরীতে লিপ্ত আছে। (১) বিশ্বাসগত কুফরী হ’ল- যারা বৈষয়িক জীবনে আল্লাহর বিধান সমূহ অস্বীকার করে অথবা সেগুলিকে ‘হক’ জানলেও পরিস্থিতি বা যুগের দোহাই পেড়ে নিজেদের রচিত বিধানকে উত্তম বা সমান বা সিদ্ধ মনে করে। এরা মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ বলে গণ্য হবে।

আল্লাহ বলেন, ‘যেসব লোকেরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে এবং বলে যে, আমরা কিছু অংশের উপরে ঈমান আনলাম ও কিছু অংশে কুফরী করলাম। এর দ্বারা তারা দু’য়ের মাঝে একটা (আপোষের) রাস্তা বের করতে চায়’। ‘এরাই হ’ল প্রকৃত ‘কাফির’। আর আমরা কাফিরদের জন্য নিকৃষ্টতম শাস্তি নির্ধারিত করে রেখেছি’ (নিসা ৪/১৫০-১৫১)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের দিকে মানুষকে আহবান করে, সে ব্যক্তি জাহান্নামীদের দলভুক্ত। যদিও সে ছিয়াম পালন করে, ছালাত আদায় করে এবং ধারণা করে যে সে একজন মুসলিম’ (আহমাদ হা/১৭২০৯; তিরমিযী হা/২৮৬৩; মিশকাত হা/৩৬৯৪)

অতএব উপরে বর্ণিত আক্বীদা ও বিশ্বাস যদি কোন ব্যক্তি বা দলের থাকে, তবে সেই নেতা বা দল ইসলাম থেকে খারিজ গণ্য হবে। তাদের দলভুক্ত হওয়া কোন মুসলমানের জন্য সিদ্ধ নয়।

(২) কর্মগত কুফরী হল- যদি কোন শাসক বা শাসক দল আল্লাহর বিধানকে সর্বোচ্চ, সর্বাঙ্গ সুন্দর ও সর্বযুগীয় এবং মুসলিম-অমুসলিম সকল মানুষের জন্য কল্যাণবিধান বলে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে এবং মুখে তা স্বীকার করে ও তা প্রতিষ্ঠার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালায়, কিন্তু বাধ্যগত কারণে আল্লাহর কিছু হুকুম বাস্তবায়নে অক্ষম থাকে, তাকে ‘কর্মগত কুফরী’ বলে। এর দ্বারা উক্ত ব্যক্তি বা দল ইসলাম থেকে খারিজ হবে না। তবে তারা কবীরা গোনাহগার হবে। তারা ইসলাম বিরোধী কোন বিধান জারি করলে তাদের উক্ত হুকুম মান্য করা সিদ্ধ হবে না। বরং তার প্রতিবাদ করতে হবে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে ও তাকে ঘৃণা করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৭)(বিঃ দ্রঃ ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ বই পৃঃ ২২-২৩)






বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : আমি কওমী মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত। আমার পিতা কৃষক এবং নিয়মিত মানুষকে ঋণ দেন এবং সূদ গ্রহণ করেন। সেখান থেকে আমার পড়াশুনার খরচ দেন। উক্ত অর্থে দ্বীনী পড়াশুনা করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : আমাদের মসজিদে লেখা আছে জুম‘আর দিন আছর ছালাতের পর ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদীন নাবিয়িল উম্মী ওয়ালা আলীহী ওয়া ছাল্লাম তাসলীমা’- এ দরুদটি ৮০ বার পাঠ করলে মহান আল্লাহ ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার আমলনামায় ৮০ বছরের নফল ইবাদতের নেকী লেখা হবে। এর সত্যতা জানতে চাই। - .
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : স্বামী মারা যাওয়ার পর সরকারী বিধি অনুযায়ী স্ত্রী যতদিন বাঁচবে পেনশন পাবে। কিন্তু ইসলামী নীতি অনুযায়ী ছেলে-মেয়েরাও পিতার সম্পদের হকদার হিসাবে উক্ত পেনশনের হকদার। এক্ষণে সন্তানদের মাঝে উক্ত পেনশন শরী‘আত মোতাবেক ভাগ করে দেওয়া মাতার জন্য আবশ্যক হবে কি? - -আযাদ সরকার, গঙ্গাচড়া, রংপুর।
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : কোন নারীর ঠোঁটের উপরের লোম তথা গোঁফ জাতীয় কিছুটা দৃশ্যমান থাকায় তা মুন্ডন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/৪১২) : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবী, ওয়া ওয়াসসি‘ লী ফী দা-রী, ওয়া বা-রিক্লী ফী রিযক্বী’ দো‘আটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : মসজিদের নামের সাথে আহলেহাদীছ যুক্ত করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি? - শাহাদত হোসাইন, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
প্রশ্নঃ (১৫/১৭৫) : গরু ও ছাগল খাসী করার শারঈ কোন বিধি-নিষেধ আছে কি?
প্রশ্ন (৩২/৪৩২) : আমার নানার কবরের উপর দিয়ে রাস্তা হয়ে গেছে এবং বছরের পর বছর মানুষ এর উপর দিয়ে হাঁটা-চলা করছে। এ ব্যাপারে কিছু করণীয় আছে কি?
প্রশ্ন (৭/২০৭) : যিহার কি? যিহারের কাফফারা কি কুরআনে বর্ণিত ধারাবাহিকতা অবলম্বন করে দিতে হবে? নাকি তিনটির যেকোন একটি দিলেই চলবে? - -ড. শিহাবুদ্দীন, বায়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৮/২১৮) : ইমাম মিম্বরে উঠার পূর্বে জুম‘আর আযান দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : স্বামী-স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থানের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পারে কি? রাসূল (ছাঃ) কখনো এরূপ দৃষ্টিপাত করেননি মর্মে হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : বাহাঈ কারা? এদের মতবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। - মুহতাসিন ফুয়াদ, মালিবাগ, ঢাকা।
আরও
আরও
.